১৪৪ ধারা: শ্রীবরদীতে তৃতীয়বারের মতো পণ্ড বিএনপির সভা

শেরপুর-৩ (শ্রীবরদী-ঝিনাইগাতী) আসনে বিএনপির প্রার্থী মো. মাহমুদুল হকের পূর্বনির্ধারিত নির্বাচনী সভা তৃতীয়বারের মতো পণ্ড হয়েছে। আজ বুধবার বিকেলে শ্রীবরদী উপজেলার গোসাইপুর ইউনিয়নের ভারেরা এসপি উচ্চবিদ্যালয় মাঠে এ সভা অনুষ্ঠানের কথা ছিল। কিন্তু ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ একই স্থানে পাল্টা সভা আহ্বান করায় সেখানে ১৪৪ ধারা জারি করে উপজেলা প্রশাসন।

এর আগে গত সোমবার শ্রীবরদীর লঙ্গরপাড়া বাজারে ও মঙ্গলবার ঝিনাইগাতী উপজেলার ধানশাইল দাখিল মাদ্রাসা মাঠে নির্বাচনী সভা আহ্বান করেও মাহমুদুল হক তা করতে পারেননি। ওই দুটি স্থানে যুবলীগ পাল্টা সমাবেশ আহ্বান করে। এর ফলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির আশঙ্কায় প্রশাসন দুই পক্ষকেই সভা না করার নির্দেশ দেয়।

এ ব্যাপারে বিএনপির প্রার্থী মাহমুদুল হক বলেন, ‘প্রশাসনকে অবগত করে পূর্বনির্ধারিত স্থানে সভা করতে গেলে স্থানীয় আওয়ামী লীগ বা যুবলীগ পাল্টা সভা ডেকে তাঁদের সভা পণ্ড করে দিচ্ছে। সরকারি দলের লোকজন বিএনপির নির্ধারিত স্থান ও সময়ে শুধু একটি মাইকিং করে পাল্টা সভা ডাকছে। আর পুলিশ আগেই ঘটনাস্থলে গিয়ে বিএনপির সমাবেশ বন্ধ করে দিচ্ছে। এটি বিএনপির সভা-সমাবেশ বন্ধ করার একটি নতুন কৌশল।’ মাহমুদুলের অভিযোগ, এ ব্যাপারে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাকে লিখিতভাবে জানিয়েও কোনো প্রতিকার পাওয়া যাচ্ছে না।

তবে শ্রীবরদীর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা সেঁজুতি ধর আজ সন্ধ্যায় প্রথম আলোকে বলেন, ভারেরা উচ্চবিদ্যালয় মাঠে সভা না করার জন্য আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দকে বলা হয়েছিল এবং প্রশাসন ও পুলিশের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু তাঁরা (আওয়ামী লীগ) নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সেখানে সভা করার চেষ্টা করে। এ সময় দুই পক্ষ মুখোমুখি অবস্থান নিলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়।

অভিযোগ অস্বীকার করে গোসাইপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহ্জামাল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, গত মঙ্গলবার সকাল থেকেই ভারেরা এসপি উচ্চবিদ্যালয় মাঠে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী সভা করার জন্য মাইকে প্রচার করা হয়। কিন্তু বিএনপির প্রার্থী কোনো প্রচার-প্রচারণা না করেই সেখানে সভা করতে চেয়েছিলেন।