বিএনপির প্রার্থী আমিন উর রশিদের আমানত বেড়েছে ১০৫ গুণ

একাদশ সংসদ নির্বাচন
একাদশ সংসদ নির্বাচন

কুমিল্লা-৬ (আদর্শ সদর, সিটি করপোরেশন, কুমিল্লা সেনানিবাস এলাকা) আসনে বিএনপির প্রার্থী মোহাম্মদ আমিন উর রশিদের স্থায়ী আমানত বেড়েছে ১০৫ গুণেরও বেশি। ১০ বছর আগে তাঁর বিরুদ্ধে কোনো মামলা ছিল না। বর্তমানে তাঁর বিরুদ্ধে চারটি মামলা আছে। নির্বাচনে দাখিল করা হলফনামায় তিনি নিজেই এসব তথ্য উপস্থাপন করেন।
আমিন উর রশিদ কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক। ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির সংসদ নির্বাচনে তিনি বিলুপ্ত কুমিল্লা-৯ আসন থেকে সাংসদ নির্বাচিত হন। ২০০৮ সালে কুমিল্লা-৬ আসন থেকে নির্বাচন করে ১ লাখ ২ হাজার ৩৫০ ভোট পান। এবারও তিনি এই আসনে প্রার্থী হয়েছেন। তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতা এইচএসসি। পেশায় তিনি ব্যবসায়ী। রপ্তানিকারক হিসেবে এবারসহ বেশ কয়েকবার তিনি পদক পেয়েছেন।
এবারের হলফনামা অনুযায়ী অস্থাবর সম্পদের মধ্যে তাঁর নিজ নামে নগদ টাকা ৪ লাখ ২৩ হাজার ৮০১ টাকা, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা ১ কোটি ১৪ লাখ ৫৬ হাজার ৪৮৪ টাকা, বন্ড ঋণপত্র খাতে ২ কোটি ১৬ লাখ ২৯ হাজার টাকা, স্থায়ী আমানত ১৩ কোটি ৫০ লাখ ১৭ হাজার ৪৬২ টাকা রয়েছে।
২০০৮ সালের নির্বাচনের সময় দাখিল করা হলফনামা ঘেঁটে দেখা গেছে, ওই সময়ে তাঁর কাছে
২৫ হাজার ৩২০ টাকা নগদ ছিল। ব্যাংক ও
আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা ছিল ৮ কোটি ৪৬ লাখ ২৬ হাজার ২৮৪ টাকা। বন্ড ও ঋণপত্র ছিল ১৭ লাখ ৮২ হাজার টাকা। আর স্থায়ী আমানত ছিল ১২ লাখ ৮০ হাজার টাকা।
স্থাবর সম্পদের মধ্যে অকৃষি জমিও বেড়েছে। ২০০৮ সালে অকৃষি জমি ছিল ৬৪৩ শতাংশ, এবার বেড়ে হয়েছে ১ হাজার ২৪৯ শতাংশ। দালান, আবাসিক/বাণিজ্যিক সংখ্যার মধ্যে আগে যা ছিল এখনো তা-ই আছে। এতে কোনো পরিবর্তন হয়নি। তবে বাড়ি, অ্যাপার্টমেন্টের সংখ্যা বেড়েছে। চট্টগ্রামের লেক সিটি হাউজিং সোসাইটিতে দুটি প্লট ও ঢাকার বনানীতে একটি ফ্ল্যাট আছে, যার মূল্য ১ কোটি ৪২ লাখ ৩০ হাজার ৯৭৮ টাকা।