বিএনপির প্রার্থীকে অবরুদ্ধ করে রাখার অভিযোগ

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চাঁদপুর-২ (মতলব দক্ষিণ ও মতলব উত্তর উপজেলা) আসনে বিএনপির প্রার্থী

একাদশ সংসদ নির্বাচন
একাদশ সংসদ নির্বাচন

মোহাম্মদ জালালউদ্দিনকে তাঁর গ্রামের বাড়িতে চার দিন ধরে পুলিশ অবরুদ্ধ করে রেখেছে। গতকাল মঙ্গলবার মতলব উত্তরের লুধুয়া গ্রামের বাড়িতে সাংবাদিকদের কাছে এ অভিযোগ করেছেন জালালউদ্দিন।
মোহাম্মদ জালালউদ্দিন বলেন, নির্বাচনী প্রচারণা ও গণসংযোগ করার জন্য গত শনিবার দুপুর ১২টায় বিএনপির স্থানীয় নেতা-কর্মী, সমর্থক ও অনুসারীদের নিয়ে লুধুয়া গ্রামে বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন তিনি। গ্রামে বাবার কবরস্থান জিয়ারত করতে গেলে আওয়ামী লীগের স্থানীয় কর্মী ও দুর্বৃত্তরা পুলিশের উপস্থিতিতে তাঁদের ওপর হামলা চালান। এতে তাঁর দলের ১০ জন আহত হন। এ ঘটনায় উল্টো পুলিশ তাঁর দলের চার শ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে। পুলিশের গ্রেপ্তার ও আওয়ামী লীগের কর্মীদের হামলার আতঙ্কে নির্বাচনী প্রচার তো দূরের কথা, তাঁর দলের কর্মীরা এলাকায়ই থাকতে পারছেন না।
জালালউদ্দিন আরও বলেন, নিরাপত্তা দেওয়ার কথা বলে পুলিশ কার্যত ও দৃশ্যত তাঁকে নিজের বাড়িতে চার দিন ধরে অবরুদ্ধ করে রেখেছে।
পুলিশের হুমকিতে তিনি এলাকায় প্রচার চালাতে পারছেন না। এমনকি তাঁর সঙ্গে বিএনপির কোনো কর্মী ও আত্মীয়স্বজনকেও দেখা করতে দিচ্ছে না পুলিশ। তিনি বলেন, এ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও তাঁর কর্মী-সমর্থকেরা বিভিন্ন স্থানে জনসভা, পথসভা, মিছিলসহ সব ধরনের প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। অথচ তাঁকে কোনো প্রচারণা করতে দেওয়া হচ্ছে না। এলাকা ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্য নানাভাবে হুমকি দেওয়া হচ্ছে।
ভোটযুদ্ধে এটি কোন ধরনের ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’—নির্বাচন কমিশনের কাছে এমন প্রশ্ন রাখেন বিএনপির প্রার্থী জালালউদ্দিন। তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, ‘মরতে হলে নিজ গ্রামেই মরব, তবু গ্রাম ছেড়ে কোথাও যাব না।’
মতলব উত্তর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুল হক বলেন, নির্বাচনের মাঠ থেকে দূরে রাখার জন্যই কয়েক দিন আগে পুলিশ তাঁকেসহ দলের প্রায় সব নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে থানায় মামলা করে। এ কারণে তাঁর দলের কর্মীরা গ্রেপ্তার–আতঙ্কে রয়েছেন। এ অবস্থায় দলীয় প্রার্থীর পক্ষে প্রচার চালানো সম্ভব হচ্ছে না। এমনকি দলীয় প্রার্থীর সঙ্গে তাঁদের দেখা করতেও দিচ্ছে না পুলিশ।
জানতে চাইলে মতলব উত্তর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কবির হোসেন বলেন, জালালউদ্দিনকে নিরাপত্তা দেওয়া পুলিশের দায়িত্ব। তাঁর কথা ভেবেই পুলিশ তাঁকে নিরাপত্তায় রেখেছে। ভোটের প্রচারণায় কাউকে বাধা দেওয়া হচ্ছে না। পুলিশের বিরুদ্ধে বিএনপির প্রার্থী ও নেতাদের আনা অভিযোগ ভিত্তিহীন।