নৌকার পক্ষে এক মঞ্চে

একাদশ সংসদ নির্বাচন
একাদশ সংসদ নির্বাচন

সীতাকুণ্ডে অবশেষে নৌকার পক্ষে ভোট চাইতে নেমে পড়েছেন আওয়ামী লীগের বিভক্ত নেতারা। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নে গণসংযোগ ও কর্মিসভায় অংশ নেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও বর্তমান সাংসদ দিদারুল আলম, উপজেলা চেয়ারম্যান এস এম আল মামুন ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল বাকের ভূঁইয়া। এতে নেতা-কর্মীদের মধ্যেও ব্যাপক উৎসাহ–উদ্দীপনা দেখা গেছে।
দলীয় সূত্র জানায়, তিন নেতার পক্ষে বিভক্ত ছিল সীতাকুণ্ড আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। তিনজনেই নৌকার মনোনয়ন চেয়েছিলেন। মনোনয়ন পেতে নিজেদের মধ্যে ব্যাপক প্রতিযোগিতা হয়। শেষ পর্যন্ত নৌকার মনোনয়ন পান দিদারুল আলম।
নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দিদারুল আলম মনোনয়ন পাওয়ার পর থেকে অন্য দুই নেতার অনুসারীদের মধ্যে অসন্তোষ বিরাজ করছিল। কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্ত মেনে নিলেও অভিমান ছিল তাঁদের মধ্যে। ১০ ডিসেম্বর সীতাকুণ্ড পৌর সদরে উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় যোগ দেন দিদারুল আলম, আবদুল্লাহ আল বাকের ভূঁইয়া ও এস এম আল মামুন।
এ সময় নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করা নিয়ে সাংসদের ওপর ক্ষোভ ঝাড়েন তাঁরা। পরে নৌকার পক্ষে কাজ করার জন্য নেতা-কর্মীদের নির্দেশ দেন। এ সময় সাংসদও তাঁদের সহযোগিতা চান।
এরপর থেকে তাঁদের অনুসারীদের মাঠে দেখা গেলেও দেখা যায়নি এস এম আল মামুন ও আবদুল্লাহ আল বাকের ভূঁইয়াকে। গত সোমবার বিকেলে মুরাদপুর ইউনিয়ন এলাকায় গণসংযোগে নামেন এস এম আল মামুন। গতকাল বাঁশবাড়িয়ায় যোগ দেন আবদুল্লাহ আল বাকের ভূঁইয়াও।
গতকালের কর্মিসভায় যেকোনো মূল্যে নৌকাকে বিজয়ী করার ব্যাপারে কর্মীদের দিকনির্দেশনা দেন তাঁরা।
সাংসদ দিদারুল আলম বলেন, তিনি দুই নেতাকে ফোন করেছিলেন। তাঁরাও সাড়া দিয়েছেন। এখন সবাই নৌকার পক্ষে ঐক্যবদ্ধ। সীতাকুণ্ডে নৌকার বিজয় আর কেউ আটকাতে পারবে না বলে মন্তব্য করেন তিনি।