নিরাপত্তাও পাচ্ছি না, বিচারও পাচ্ছি না

আফরোজা আব্বাস
আফরোজা আব্বাস

নির্বাচনী গণসংযোগে নেমে নিরাপত্তা পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেছেন ঢাকা-৯ আসনে বিএনপির প্রার্থী আফরোজা আব্বাস। তিনি বলেছেন, ‘সংশ্লিষ্ট থানায় আগেই লিখিতভাবে জানিয়ে প্রচারে নামছি। নির্বাচন কমিশনকেও অবগত করছি। তবু নিরাপত্তা পাচ্ছি না। বিচার পাচ্ছি না।’ গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শাহজানপুরের বাসায় সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।

গতকাল বেলা সোয়া ১১টায় শাহজানপুরের বাসা থেকে নেতা-কর্মীদের নিয়ে গণসংযোগে বের হন আফরোজা আব্বাস। দুপুর পৌনে ১২টায় তাঁরা দক্ষিণ গোড়ানের বাগানবাড়ি রোডে পৌঁছালে সেখানে হামলার ঘটনা ঘটে।

এই ঘটনায় ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীকে দায়ী করেছেন আফরোজা আব্বাস। তিনি বলেন, তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর নির্দেশনায় এবং প্রশাসনের সহায়তার এই হামলা হয়েছে।

তবে ধানের শীষের প্রার্থীর এই অভিযোগের জবাবে ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থী সাবের হোসেন চৌধুরী গতকাল রাতে মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেছেন, ‘ওই ঘটনার সঙ্গে আওয়ামী লীগের কেউ জড়িত ছিলেন না। বরং আওয়ামী লীগের কর্মীরাই হামলার শিকার হয়েছেন। আমাদের দুজন কর্মী মুগদা হাসপাতালে ভর্তি আছেন। তাঁদের মাথায় মারাত্মক জখম হয়েছে। আমি তাঁদের দেখেও এসেছি।’

সাবের হোসেন চৌধুরী আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা হামলা করে থাকলে কীভাবে আওয়ামী লীগের কর্মীরাই আহত হলেন।’ নিজেরা এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়ে আওয়ামী লীগকে দোষারোপ করার প্রবণতা থেকে বিএনপিকে বের হয়ে আসার আহ্বান জানান ক্ষমতাসীন দলের এই প্রার্থী।

সংবাদ সম্মেলনে আফরোজা আব্বাসের দাবি, গতকালের ঘটনায় তাঁদের অন্তত ৮০ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে দুজনকে আইসিইউতে নেওয়ার মতো অবস্থা হয়েছে।

এর আগে তাঁর গণসংযোগে হামলা হয়েছে জানিয়ে আফরোজা বলেন, ‘যেদিন প্রথম প্রচার শুরু করেছিলাম, কমলাপুর স্কুলের সামনে আমার ওপর হামলা করা হলো। ওই দিন মাদারটেক চৌরাস্তায়ও হামলা করা হয়েছে। আমার গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছিল। ওই দিনের হামলায় অনেক নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। সেদিন যারা হামলা করেছিল, আমি তাদের নামও বলেছি। তারপর আবার সাহস করে গণসংযোগ শুরু করলাম। দুই দিন ভালো করেই গণসংযোগ করেছি। তবে গতকাল ফের তারা হামলা করল।’

গতকাল আফরোজা আব্বাসের গণসংযোগে হামলায় খিলগাঁও থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম, ২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি সাহাবুদ্দিন মজুমদার, সাধারণ সম্পাদক রুবেল, ১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুস সালাম, ২ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি গালিব, ৭৫ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি মনির, ১ নম্বর ওয়ার্ড শ্রমিক লীগের সভাপতি তাজুসহ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা নেতৃত্ব দিয়েছেন বলেও দাবি করেন তিনি।

হামলার সময় পুলিশের ভূমিকায় কিছুটা সন্তোষ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘পুলিশ তাদের (আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী) বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। তবে পুলিশের সংখ্যা কম ছিল। তাদের কয়েকজন আমাকে রক্ষা করার চেষ্টা করেছিল। তবে আমার নেতা-কর্মীদের রক্ষার চেষ্টাই করেনি।’

প্রশাসন একেবারেই সরকারের উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে কাজ করছে দাবি করে বিএনপির এই প্রার্থী বলেন, ‘আমরা সেনাবাহিনী চাই। তারা নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করবে। তাদের কাছে আমরা নিরাপদ বোধ করব।’