অস্ত্র জমাদানের আদেশ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নির্দেশের পর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে অবাধ ও সুষ্ঠু করতে সব ধরনের বৈধ আগ্নেয়াস্ত্র জমা দেওয়ার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের আদেশক্রমে জননিরাপত্তা বিভাগের উপসচিব আবদুল জলিল এই আদেশ জারি করেন।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ২৪ ডিসেম্বরের মধ্যে এসব অস্ত্র সংশ্লিষ্ট থানায় জমা দিতে হবে, যা ৬ জানুয়ারি পর্যন্ত রাষ্ট্রীয় কোষাগারে গচ্ছিত থাকবে। তবে তিন শ্রেণির ব্যক্তিকে তাঁদের বৈধ অস্ত্র জমা দিতে হবে না।

এই তিন শ্রেণির ব্যক্তিরা হলেন এক. এই সংসদীয় নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রার্থী। দুই. আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য ও সরকারি কর্মকর্তা। তিন. বিভিন্ন সরকারি, আধা সরকারি. বেসরকারি দপ্তর, আর্থিক ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠান এবং স্থাপনাসমূহের নিয়োজিত নিরাপত্তা প্রহরী।

প্রসঙ্গত, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বলতে সংবিধানের ১৫২ নম্বর অনুচ্ছেদে বর্ণিত ‘শৃঙ্খলা বাহিনী’কে বোঝানো হয়েছে। সংবিধানের এই ধারামতে, শৃঙ্খলা বাহিনী বলতে স্থল, নৌ ও বিমান বাহিনী; পুলিশ বাহিনী এবং আইনের দ্বারা সংজ্ঞার অর্থের অন্তর্গত বলে ঘোষিত যেকোনো শৃঙ্খলা বাহিনীকে বোঝানো হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, যাঁরা এই আদেশ লঙ্ঘন করবেন অস্ত্র আইনের সংযুক্ত ধারায় তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এর আগে বৈধ অস্ত্র জমা দেওয়ার নির্দেশনা দিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগকে চিঠি পাঠান নির্বাচন কমিশনের ইসির যুগ্ম সচিব ফরহাদ আহাম্মদ খান। ওই চিঠিতে বলা হয়েছিল, ৩০ ডিসেম্বর সংসদ নির্বাচনের আগে সব বৈধ অস্ত্র জমা নেওয়ার ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। তবে সরকারি বা গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার নিরাপত্তা এই নির্দেশনার বাইরে থাকবে। সব অস্ত্র সংশ্লিষ্ট থানায় জমা দিতে হবে।