মাশরাফির জন্য ভোট চাইলেন প্রধানমন্ত্রী

নড়াইল-২ (লোহাগড়া-সদরের একাংশ) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ক্রিকেটার মাশরাফি বিন মুর্তজার নির্বাচনী প্রচারে অংশ নিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ধানমন্ডিতে নিজ বাসভবন সুধা সদন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে লোহাগড়ার নির্বাচনী জনসভায় কথা বলেন তিনি।

এ সময় সুধা সদনে প্রধানমন্ত্রীর পাশে ছিলেন মাশরাফি। তিনিও ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বক্তব্য দেন। এই প্রথম নির্বাচনী প্রচারে অংশ নিলেন মাশরাফি। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর তিনি এলাকায় আসেননি। সর্বশেষ এসেছিলেন গত ঈদে।

লোহাগড়া সরকারি পাইলট উচ্চবিদ্যালয় চত্বরে এই নির্বাচনী জনসভা হয়। প্রধানমন্ত্রী প্রথমেই নড়াইল-১ আসনের প্রার্থী বি এম কবিরুল হক ও নড়াইল-২ আসনের প্রার্থী মাশরাফি বিন মুর্তজাকে পরিচয় করিয়ে দেন। এরপর তিনি বলেন, ‘মাশরাফিকে আমি কাছে রেখে দিয়েছি। সে আমার পাশে বসা। হীরার টুকরা নড়াইলকে দিলাম। তার সম্মান রাখবেন। মাশরাফি যা বলবে তা করে দেব। আপনারা ঐক্যবদ্ধ হয়ে মিলেমিশে কাজ করে মাশরাফি ও কবিরুল হককে বিজয়ী করুন। যেসব প্রার্থী বিজয়ী হতে পারবে, তাদেরই মনোনয়ন দিয়েছি।’

প্রধানমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে সরকারের উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরেন। ২০০১ সালের পর বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাস ও দুর্নীতির তথ্য তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত মুজিব কোট পরে জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে ভোটকেন্দ্রে সন্ত্রাস করবে। ভুয়া ব্যালট পেপার ছাপাচ্ছে। সবার সতর্ক থাকতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘সারা বাংলাদেশে নৌকার জোয়ার উঠেছে। তরুণ শক্তিকে কাজে লাগিয়ে আমরা দেশকে উন্নত করব।’

মাশরাফি তাঁর বক্তৃতার শুরুতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী আমাকে নড়াইলবাসীর সেবা করার সুযোগ দিয়েছেন। এ জন্য আমি কৃতজ্ঞ। আপনারা নৌকা মার্কায় ভোট দেবেন। প্রধানমন্ত্রীর ওপর আস্থা রাখবেন। আমার অনুপস্থিতিতে আপনারা আমার জন্য কাজ করছেন, এ জন্য আমি কৃতজ্ঞ। আমি আপনাদের সন্তান। আপনারা যোগ্য মনে করলে আমাকে বিবেচনা করবেন। আমার পায়ে ব্যথা। চিকিৎসা চলছে। চিকিৎসা শেষে দ্রুত আপনাদের সঙ্গে দেখা করব। চেষ্টা করব সব এলাকায় যেতে।’

এ সময় নড়াইলে মেডিকেল কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, অর্থনৈতিক অঞ্চল ও গেম ভিলেজ প্রতিষ্ঠার দাবি করে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুবাস চন্দ্র বোস, সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন খান, সহসভাপতি সৈয়দ আইয়ুব আলী ও শিকদার আজাদুর রহমান, নড়াইল জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন বিশ্বাস, নড়াইলের পৌর মেয়র জাহাঙ্গীর বিশ্বাস, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি গোলাম নবী, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অচিন চক্রবর্তী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শিকদার আবদুল হান্নান, সাধারণ সম্পাদক ও লোহাগড়া উপজেলা চেয়ারম্যান সৈয়দ ফয়জুল আমির, সহসভাপতি সৈয়দ মশিয়ূর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন, লোহাগড়া পৌর মেয়র আশরাফুল আলম প্রমুখ।