নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট করছে পুলিশ, অভিযোগ অনিন্দ্যর

জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন যশোর-৩ (সদর) আসনে বিএনপির প্রার্থী অনিন্দ্য ইসলাম অমিত। গতকাল শনিবার দুপুরে প্রেসক্লাব যশোর মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি এ শঙ্কার কথা জানান।

অনিন্দ্য অভিযোগ করেন, পুলিশ যশোরে নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট করছে। যাঁরা তাঁর নির্বাচনী প্রচারে কাজ করছেন—এমন ৪৫ জন নেতা-কর্মীকে পুলিশ গত দুই দিনে আটক করে দুটি গায়েবি মামলায় ফাঁসিয়ে দিয়েছে। আটক ৪৫ জনসহ মোট ৬৬ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা আরও ২০০ থেকে ২৫০ জনকে ওই মামলায় আসামি করা হয়েছে। সংসদ নির্বাচনের ঠিক আগমুহূর্তে পুলিশের এমন আচরণে সবাই শঙ্কিত।

অনিন্দ্য বলেন, ‘একদিকে পুলিশ আর অন্যদিকে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা আমাদের ভোটের মাঠে নামতেই দিচ্ছে না। এখন প্রতিটি মুহূর্তে আমাদের জনগণের কাছে যাওয়া উচিত। কিন্তু সন্ধ্যার পর আমরা বের হতে ভয় পাচ্ছি। রাতে কোথাও বের হতে পারছি না।’

ধানের শীষের প্রার্থীর অভিযোগ, গত শুক্রবার দলীয় কার্যালয়ের সামনে বসে থাকা কয়েকজন বিএনপি কর্মীকে লোহার পাইপ দিয়ে পিটিয়ে আহত করেছে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা। ধানের শীষের প্রচারগাড়ির চালকদের গাড়ি থেকে নামিয়ে মারধর করা হচ্ছে।

নতুন করে গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যরা হলেন লেবুতলা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন, ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মনোয়ার, নরেন্দ্রপুর ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মো. মিন্টু, কাসিমপুর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সেলিম হোসেন, রামনগর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি জহির হোসেন, ফতেপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য মফিজুর রহমান, সদর উপজেলা বিএনপির সদস্য অহেদ সিকান্দার, জয়নাল ও মিজানুর।

বিএনপির অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অপূর্ব হাসান বলেন, যাঁরা অপরাধী, শুধু তাঁদেরই ধরা হচ্ছে। বিএনপির নেতা-কর্মীদের যদি হয়রানি করা হতো, তাহলে তাঁরা প্রেসক্লাবে গিয়ে সংবাদ সম্মেলন করতে পারতেন না। তবে দুটি মামলায় ৬৬ জনকে আসামি করা হয়েছে, এটা সত্য। তাঁরা অপরাধী। মামলাগুলোও আগের বলে দাবি করেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে যশোর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাবেরুল হক বলেন, ‘চর দখলের মতো যশোরে নির্বাচনী মাঠ দখল করা হচ্ছে। পুলিশ আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে নির্বাচনী মাঠ দখল করে দেওয়ার কাজ করছে। পুলিশ প্রশাসনের কারণে নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে।’

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মুনিরুল হুদা, জেলা কমিটির সহসভাপতি মিজানুর রহমান খান, নজরুল ইসলাম, যুগ্ম সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ।