এএসপির গাড়িতে হামলা, দেহরক্ষীর গুলিতে আহত হামলাকারী আটক

চুয়াডাঙ্গায় দামুড়হুদা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) আবু রাসেলের গাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। হামলার পর এএসপির দেহরক্ষীর গুলিতে আহত হামলাকারীকে আটক করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রোববার রাত সাড়ে নয়টার দিকে চুয়াডাঙ্গা-জীবননগর মহাসড়কের আকন্দবাড়িয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

আহত হামলাকারীর নাম মো. টিটু মিয়া (৩০)। তিনি দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা থানা পাড়ার মোজাহিদ হোসেনের ছেলে। রাতে এ খবর লেখা পর্যন্ত হামলাকারীর সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যায়নি। 

পুলিশ জানায়, রোববার জীবননগর উপজেলার উথলীতে সড়ক দুর্ঘটনায় চারজন নিহত ও ছয়জন আহত হয়। এএসপি আবু রাসেল ওই এলাকা পরিদর্শন শেষে নিজ দপ্তরে ফিরছিলেন। এ সময় সদর উপজেলার আকন্দবাড়িয়া এলাকায় পৌঁছালে মোটরসাইকেল আরোহী এক তরুণ পাশকাটিয়ে সামনে এগিয়ে যায়। একপর্যায়ে এএসপির গাড়িতে অজ্ঞাত বস্তু দিয়ে হামলা করে। এতে গাড়ির চালকের দিকে জানালার কাচের শেড ভেঙে যায়।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. কলিমুল্লাহ প্রথম আলোকে জানান, পুলিশের গাড়িতে (পিকআপ) হামলা চালানোর পর ওই তরুণ গাড়ির সামনে আঁকাবাঁকাভাবে (জিগজাগ) দ্রুতগতিতে চলতে থাকে। এরপর পুলিশ সদস্যরা গাড়ি নিয়ে তাঁকে ধাওয়া করে এবং প্রায় দুই কিলোমিটার ধাওয়ার পর দর্শনা বন্দর সড়কে পৌঁছালে এএসপির দেহরক্ষী পিস্তল দিয়ে হামলাকারীর পা লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন। ডান পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে পড়ে গেলে পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।

সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আওলিয়ার রহমান জানান, পায়ে আঘাত ছাড়াও মাথার পেছনে ও কপালে আঘাতের চিহ্নে আছে। তাকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।