নৌকায় ভোট চাইলেন বিএনপির নেতা

নারায়ণগঞ্জ-৪ (ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শামীম ওসমানের পক্ষে ভোট চাইলেন ফতুল্লা থানা বিএনপির সহসভাপতি মনিরুল আলম ওরফে সেন্টু চেয়ারম্যান।

গত শনিবার সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লার পঞ্চবটিতে শামীম ওসমানের নির্বাচনী সভায় নৌকায় ভোট চান তিনি। এদিকে এ ঘটনার পর  মনিরুল আলমকে দল থেকে বহিষ্কারের দাবি জানিয়েছেন বিএনপির নেতা–কর্মীরা।

মনিরুল আলম কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। স্থানীয় সূত্র বলছে, এর আগেও শামীম ওসমানের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে মনিরুলকে দেখা গেছে।

শনিবারের ওই নির্বাচনী সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী এ কে এম শামীম ওসমান। উপস্থিত ছিলেন ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাইফুল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক শওকত আলী, জেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম চেঙ্গীস।

এ বিষয়ে ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শওকত আলী বলেন, ওই সভায় মনিরুল আলম ছাড়াও বিএনপির আরও লোকজন বক্তব্য দেন। শামীম ওসমানকে সমর্থন জানিয়ে তাঁর জন্য জন্য ভোট চেয়েছেন মনিরুল আলম।

নারায়ণগঞ্জ-৪ (ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনটি নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়ন (কতুবপুর, ফতুল্লা, এনায়েতনগর, কাশিপুর ও বক্তাবলী) এবং নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ১ থেকে ১০ নম্বর ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত। এ আসনে মোট ভোটার ৬ লাখ ৫৩ হাজার ৬৩৯ জন। জেলার পাঁচটি আসনের মধ্যে এ আসনেই সবেচেয়ে বেশি ভোটার। জেলার সবচেয়ে বড় ইউনিয়ন কুতুপুরে মোট ভোটার পৌনে ২ লাখ।

বিএনপির বেশ কয়েকজন নেতা–কর্মীর মতে, দলের নেতা–কর্মী-সমর্থকদের ভোটে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন মনিরুল আলম। তিনি এখন নৌকার পক্ষে ভোট চেয়ে দলের নীতি–আদর্শের সঙ্গে বেইমানি করেছেন। তাঁদের মতো লোকদের কারণে দলের এই পরিণতি। তাঁদের উচিত দল ছেড়ে চলে যাওয়া। দলেরও উচিত এ ধরনের চিহ্নিত লোকদের আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে এই আসনে ধানের শীষের প্রার্থী মনির হোসাইন কাসেমী বলেন, ‘বিএনপির নেতা হয়ে নৌকার পক্ষে ভোট চাওয়ায় দলের নেতা–কর্মীরা হতবাক। তিনি কেন সেখানে গিয়ে নৌকায় ভোট চাইলেন, তা তিনিই ভালো বলতে পারবেন। দল তাঁর কাছে জবাব চাইতে পারে।’

এ ব্যাপারে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মামুন মাহমুদ বলেন, দলের পদে থেকে নৌকার পক্ষে ভোট চেয়ে তিনি দল ও প্রার্থীর বিরুদ্ধে গেছেন। এটা দলের শৃঙ্খলাবিরোধী কাজ। এটা তিনি করতে পারেন না। দলের শীর্ষ নেতারা তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন।

এ ব্যাপারে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে মনিরুল আলম বলেন, ‘শামীম ওসমান এলাকায় অনেক উন্নয়ন করেছেন। যেহেতু আমাদের দলের কোনো প্রার্থী এখানে নেই, তাই আমি তাঁকে সমর্থন জানিয়েছি।’