আফরোজার গণসংযোগে ফের হামলা, আহত ২২

ঢাকা-৯ আসনে বিএনপির প্রার্থী আফরোজা আব্বাসের প্রচারণা মিছিলে হামলা। গতকাল মানিকনগর পুকুরপাড় এলাকায়।  ছবি: প্রথম আলো
ঢাকা-৯ আসনে বিএনপির প্রার্থী আফরোজা আব্বাসের প্রচারণা মিছিলে হামলা। গতকাল মানিকনগর পুকুরপাড় এলাকায়। ছবি: প্রথম আলো

ঢাকা–৯ আসনে বিএনপির প্রার্থী আফরোজা আব্বাসের গণসংযোগে ফের হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে  অন্তত ২২ জন আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার দুপুরে রাজধানীর মানিকনগর পুকুরপাড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আফরোজা আব্বাসের দাবি, ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীর নির্দেশে তাঁর গণসংযোগে হামলা হয়েছে।

এর আগে ১২ ডিসেম্বর বাসাবো বৌদ্ধমন্দির এলাকায় ও মাদারটেক চৌরাস্তায় আফরোজার গণসংযোগে হামলা হয়। এ ঘটনার পর দুই দিন বিরতি দিয়ে ১৮ ডিসেম্বর তিনি সংসদ নির্বাচনের প্রচারে নামলে দক্ষিণ গোড়ানের বাগানবাড়ি রোডে আবারও তাঁর ওপর হামলা হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গতকাল দুপুর ১২টার দিকে শাহজাহানপুরের বাসা থেকে কর্মী–সমর্থকদের নিয়ে গণসংযোগে বের হন আফরোজা আব্বাস। তাঁরা মুগদা ও মান্ডা এলাকা হয়ে মানিকনগর মোড়ে পৌঁছালে পেছনের দিক দিয়ে একদল যুবক হামলা করে। বিএনপির প্রার্থীর দাবি, হামলাকারী সবাই ক্ষমতাসীন দলের নেতা–কর্মী।

এ ঘটনার পর প্রচার বন্ধ করে শাহজাহানপুরের বাসায় ফিরে আসেন আফরোজা আব্বাস। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি এর আগেও মিছিল করেছি। সেখানেও তারা হামলা করেছে। আজকে আবার নির্লজ্জের মতো আমাদের ওপর হামলা করা হয়েছে। আমার মাথায় ও পায়ে আঘাত লেগেছে। আমার সঙ্গে থাকা নেতা–কর্মীরাও আহত হয়েছেন। এই হামলা হয়েছে ঢাকা-৯ আসনের নৌকার প্রার্থী সাবের হোসেন চৌধুরীর নির্দেশে। উনি আসলে চাচ্ছেনটা কী? আমরা ঘরে বসে থাকব আর উনি একা একা প্রচার চালাবেন?’

নিরাপত্তা দিতে পুলিশ ছিল কি না, জানতে চাইলে আফরোজা আব্বাস বলেন, ‘আমাদের নিরাপত্তায় পুলিশ ছিল। কিন্তু পুলিশের প্রতি আমাদের কোনো আস্থা নেই। সেনাবাহিনীর প্রতি আস্থা আছে। তারা মাঠে নামলে পরিবেশ স্বাভাবিক হয়ে যাবে।’

 গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার পর আফরোজা আব্বাসের পক্ষ থেকে হামলায় আহত তাঁর দলের নেতা–কর্মী ও হামলাকারীদের একটি তালিকা দেওয়া হয়। আহত নেতা–কর্মীদের মধ্যে আছেন মহিলা দলের নেত্রী নূরজাহান আক্তার, শোভা, মনোয়ারা রহমান, জয়া, শারমিন আক্তার, সোনিয়া আহমেদ, পারভিন, মর্জিনা আক্তার, ফরিদা পারভিন, সুলতানা রাজিয়া এবং দলীয় কর্মী মিজানুর রহমান, আসিফ, সোহেল, ইসমাইল, কাজী আকবর প্রমুখ। এ ছাড়া হায়দার আলী নামে একজন ফটোসাংবাদিক মারাত্মক আহত হয়েছেন। হামলাকারীরা তাঁর ক্যামেরা ছিনিয়ে নেয়। একই সঙ্গে তাঁকে মাটিতে ফেলে উপর্যুপরি লাথি ও পিটিয়ে আহত করে। আহত সাংবাদিকদের মধ্যে আরও আছেন আসাদ, মিন্টু ও পারভেজ।

  গতকাল রাতে মুঠোফোনে আফরোজা আব্বাস প্রথম আলোকে বলেন, ‘গণসংযোগে নামার আগে নির্বাচন কমিশন ও সংশ্লিষ্ট থানাকে জানাচ্ছি। অথচ গণসংযোগে নামলেই বারবার হামলা হচ্ছে।’ ক্ষমতাসীন দলের নেতা–কর্মীরা হামলা করলেও উল্টো বিএনপির নেতা–কর্মীদের বিরুদ্ধেই মামলা দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।