'ভয়ে আ.লীগে যোগ দিচ্ছেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা'

একাদশ সংসদ নির্বাচন
একাদশ সংসদ নির্বাচন

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ (বাঞ্ছারামপুর) আসনে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের বাধায় বিএনপির প্রার্থী আবদুল খালেক গণসংযোগ করতে পারছেন না বলে অভিযোগ করেছেন। তিনি বলেন, মিথ্যা মামলার ভয়ে বিএনপির নেতা-কর্মীরা ঘরবন্দী হয়ে পড়েছেন। গ্রেপ্তারের ভয়ে তাঁরা আওয়ামী লীগে যোগ দিচ্ছেন।

গতকাল রোববার আবদুল খালেক এ অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, গতকালও ফরদাবাদ ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি আলম মিয়া, যুবদলের সদস্য শাহ আলম ও উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য ইয়াছিন মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বর্তমান সাংসদ এ বি তাজুল ইসলাম। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। তাঁর পক্ষে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম বলেন, বিএনপির প্রার্থীর এসব অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট।

জানতে চাইলে বাঞ্ছারামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালাহউদ্দিন চৌধুরী বলেন, হয়রানির অভিযোগ অমূলক। যাঁদের বিরুদ্ধে মামলা বা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে, পুলিশ তাঁদেরই গ্রেপ্তার করছে।

উপজেলা বিএনপি সূত্রে জানা যায়, ১৫ ডিসেম্বর বিকেলে কদমতলী গ্রামে বিএনপি সভা করে। সভা শেষে বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে ফেরার পথে বিএনপির নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা চালান আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। এতে উপজেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক হেলাল মিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. হক ও বিএনপির নেতা রুবেল মিয়া আহত হন। এ ঘটনায় উল্টো বিএনপির ৭০ জন নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ২০০ জনকে আসামি করে মামলা হয়। একই দিন ফেরিঘাট এলাকায় পথসভা শেষে ফেরার পথে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের হামলা হয়। একই দিন পায়রাকান্দি এলাকায়ও বিএনপির সভায় হামলা করেন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। ১৫ ডিসেম্বরের পর এ আসনে বিএনপি আর কোনো সভা করতে পারেনি।

আবদুল খালেক বলেন, ‘যেখানে যাচ্ছি সেখানেই হামলার শিকার হয়েছি। পুলিশ বাড়ি বাড়ি গিয়ে তল্লাশি চালাচ্ছে। তারা বিএনপির নেতা-কর্মীদের ভয় দেখিয়ে আওয়ামী লীগে যোগ দিতে বাধ্য করছে। এ পর্যন্ত দুই থেকে তিন হাজার নেতা-কর্মীকে আওয়ামী লীগে যোগদান করানো হয়েছে।’

জানতে চাইলে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম বলেন, ‘বাঞ্ছারামপুর একমাত্র উপজেলা সেখানে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। এখানে আমরা সহাবস্থানে রয়েছি। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের প্রায় দেড় হাজার বিএনপির নেতা-কর্মী আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছেন। তবে গত শনিবার আমরা আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছি, বিএনপির আর কাউকে দলে নেব না। নির্বাচনের পরে যোগদান হবে।’