কুলিয়ারচরে বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষ, গুলি

কিশোরগঞ্জ-৬ (ভৈরব-কুলিয়ারচর) আসনে বিএনপির প্রার্থী শরীফুল আলমের গণসংযোগের সময় তাঁর নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় পুলিশের শটগানের গুলিতে ১০ জনসহ অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। অপরদিকে পুলিশ বলছে, বিএনপির নেতা-কর্মীদের হামলায় পুলিশের ছয়জন সদস্য আহত হয়েছেন।

সোমবার বিকেলে কুলিয়ারচর থানা সড়ক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহত ব্যক্তিরা গ্রেপ্তার এড়াতে পাশের উপজেলা বাজিতপুর ও কটিয়াদী থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানান বিএনপি নেতা-কর্মীরা।

প্রত্যক্ষদর্শী ও বিএনপির নেতা-কর্মীরা জানান, দুপুরের পর কুলিয়ারচর বাজার এলাকায় বিএনপির প্রার্থী শরীফুল আলম ও তাঁর লোকজন নির্বাচনী গণসংযোগ করছিলেন। বিকেল চারটার দিকে কর্মী-সমর্থক নিয়ে থানার সামনে দিয়ে যাচ্ছিলেন শরীফুল। এ সময় সেখানে পুলিশ এসে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুল মিল্লাতের সঙ্গে কথা বলে। পুলিশের উপস্থিতি দেখে কর্মী-সমর্থকেরা ক্ষুব্ধ হয়ে যান। তখন পুলিশের সঙ্গে কর্মী-সমর্থকদের কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে পুলিশ গুলি ছুড়তে থাকে। তখন শরীফুল আলমকে দলীয় কর্মীরা মানবপ্রাচীর তৈরি নিরাপদ স্থানে নিয়ে যান।

বিএনপির নেতা শরীফুল আলম অভিযোগ করেন, ‘আমাদের দাঁড়াতেই দিচ্ছে না পুলিশ। পদে পদে বাধা দিচ্ছে। শেষ সময়েও আমাদের প্রচার চালাতে দিচ্ছে না। কোনো কারণ ছাড়াই আজ পুলিশ আমাদের ওপর গুলি চালিয়েছে।’

এ বিষয়ে কুলিয়ারচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নান্নু মোল্লা প্রথম আলোকে বলেন, ‘বিএনপির নেতা-কর্মীরা লাঠিসোঁটা নিয়ে মিছিল করছিল। লাঠিসোঁটা ছেড়ে শান্তিপূর্ণভাবে তাঁদের মিছিল করতে বলা হয়। এতে তাঁরা ক্ষুব্ধ হয়ে পুলিশের ওপর হামলা করে এবং ইটপাটকেল ছোড়ে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় পুলিশ শটগানের ৭০ রাউন্ড গুলি ছোড়ে।’