বাধার মুখে টিকে থাকার লড়াইয়ে ধানের শীষ

>
বগুড়া-৬ আসনে নির্বাচনী জনসভার একাংশ। গতকাল সদরের বাঘোপাড়ায় শহীদ দানেশ উদ্দীন স্কুল ও কলেজ মাঠে।  ছবি: প্রথম আলো
বগুড়া-৬ আসনে নির্বাচনী জনসভার একাংশ। গতকাল সদরের বাঘোপাড়ায় শহীদ দানেশ উদ্দীন স্কুল ও কলেজ মাঠে। ছবি: প্রথম আলো
* কিছু আসনে হামলা–বাধার অভিযোগ কম
* তবে সব আসনেই গ্রেপ্তার–আতঙ্ক রয়েছে
* দলের শক্ত আসনে টিকে আছেন প্রার্থীরা
* কয়েকটি আসনে রাজনৈতিক সহাবস্থান

হুমকি, বাধা ও পুলিশি আতঙ্ক নিয়েই চলছে ধানের শীষের প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রচার। প্রচার চালাতে গিয়ে প্রায় প্রতিদিনই দেশের কোথাও না কোথাও আক্রমণ, হামলার শিকার হচ্ছেন নেতা–কর্মীরা। আক্রান্ত হচ্ছেন প্রার্থীরাও। শেষ মুহূর্তেও আদালত থেকে প্রার্থিতা বাতিল হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে ভোটের মাঠে টিকে থাকার লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীরা।

দলীয় সূত্র জানায়, যেসব আসনে দলের অবস্থান শক্ত, সেখানে এখনো টিকে আছেন ধানের শীষের প্রার্থীরা। এর মধ্যে পঞ্চগড়, দিনাজপুর, রংপুর, নীলফামারীর কিছু আসন রয়েছে। এসব এলাকায় ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থীদের প্রচারে হামলা ও বাধার অভিযোগ কম। এ ছাড়া কয়েকটি আসনে রাজনৈতিক সহাবস্থান দেখা গেছে, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে নির্বাচনী প্রচারের সময় শুভেচ্ছা বিনিময়ও হয়েছে। তবে সব আসনেই নেতা–কর্মীদের মধ্যে গ্রেপ্তার–আতঙ্ক রয়েছে।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি এককভাবে ২৫৮টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে। বাকি ৪২টি আসন ছেড়েছে ২০-দলীয় জোট ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শরিকদের। এর মধ্যে ২৩টি আসনে ধানের শীষের প্রার্থীর প্রার্থিতা উচ্চ আদালতে স্থগিত করা হয়েছে। গাইবান্ধার একটি আসনের প্রার্থী মারা গেছেন। নির্বাচনে অংশ নেওয়া বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্টের ১৭ জন প্রার্থী কারাগারে আছেন। এ পরিস্থিতিতে নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিয়ে দলের ভেতরেই নানা প্রশ্ন উঠেছে।

বিএনপির হিসাবে প্রায় আড়াই শ আসনে ধানের শীষের প্রার্থীদের প্রচারে ব্যাপক বাধার সৃষ্টি করা হয়েছে। দলের নেতারা বলছেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরাও বিএনপির প্রতিপক্ষের ভূমিকায় নেমেছেন।

পঞ্চগড়ে সহাবস্থান
দেশের সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের দুটি আসনে এখনো রাজনৈতিক সহাবস্থান আছে। আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ ছাড়া দুটি আসনে এখন পর্যন্ত নির্বাচনী সংঘাতের ঘটনা ঘটেনি। পঞ্চগড়-১ আসনে (সদর, তেঁতুলিয়া ও আটোয়ারী) বিএনপি, আওয়ামী লীগসহ সাতজন প্রার্থী আছেন। মূল লড়াইয়ে আছে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সাবেক সাংসদ মজাহারুল হক প্রধান ও ধানের শীষের প্রার্থী মুহম্মদ নওশাদ জমির। নওশাদ বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতা জমির উদ্দিন সরকারের ছেলে।

এই আসনে কোনো বাধা–বিপত্তি ছাড়াই প্রচারণা চালাতে পারছেন বিএনপির কর্মীরা। তবে নেতা-কর্মীদের মধ্যে গ্রেপ্তার–আতঙ্ক বিরাজ করছে বলে জানান বিএনপির প্রার্থী নওশাদ জমির। তিনি বলেন, মাঠে সেনাবাহিনী নামার পর থেকে ভোটার ও কর্মীদের মধ্যে স্বস্তি আছে।

পঞ্চগড়-২ আসনে (বোদা ও দেবীগঞ্জ) প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী সাতজন। ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এই আসনেও আওয়ামী লীগের প্রার্থী নূরুল ইসলামের সঙ্গে বিএনপির ফরহাদ হোসেনও সমানতালে প্রচারণা চালাচ্ছেন। এখন পর্যন্ত কোনো প্রার্থী কারও বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ করেননি। তবে বিএনপির প্রার্থী বলছেন, তাঁর কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে গ্রেপ্তার–আতঙ্ক আছে।

শান্তিপূর্ণ নীলফামারী
নীলফামারীর চারটি আসনে শান্তিপূর্ণ প্রচার চলছে। গতকাল বুধবার পর্যন্ত প্রচারণায় উল্লেখযোগ্য কোনো সংঘর্ষ বা বাধার অভিযোগ পাওয়া যায়নি। নীলফামারী-১ (ডোমার–ডিমলা) আসনে মো. রফিকুল ইসলাম চৌধুরী ও নীলফামারী-৪ (সৈয়দপুর–কিশোরগঞ্জ) আসনে আমজাদ হোসেন সরকার বিএনপির প্রার্থী। তবে আদালতের আদেশে আমজাদ হোসেনের প্রার্থিতা বাতিল হওয়ায় এখানে বিএনপির কোনো প্রার্থী নেই। নীলফামারী-২ (সদর) আসনে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী জামায়াতের নেতা মনিরুজ্জামান, নীলফামারী-৩ (জলঢাকা) আসনে প্রার্থী আজিজুল ইসলাম।

নীলফামারী–২ (সদর) আসনে জামায়াত-বিএনপির বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ, নেতা-কর্মীদের ওপর হামলার ঘটনায় তিনটি মামলা হয়েছে। এ মামলায় জামায়াতের ৭ কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

এ বিষয়ে নীলফামারী জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মীর সেলিম ফারুক প্রথম আলোকে বলেন, ‘নীলফামারীর তিনটি আসনে জামায়াতের দুজন এবং বিএনপির একজন প্রচারণায় আছেন। এখন পর্যন্ত কোনো বাধার সম্মুখীন হইনি।’

রংপুরের চিত্র ভিন্ন ভিন্ন
রংপুরের ছয় আসনে নির্বাচনের চিত্র ভিন্ন। রংপুর-১ (গঙ্গাচড়া) ও ২ (বদরগঞ্জ-তারাগঞ্জ) আসনে সংঘাত-সংঘর্ষ নেই। রংপুর-৫ (মিঠাপুকুর) আসনে ধানের শীষ প্রতীকে জামায়াতের প্রার্থী গোলাম রব্বানীর প্রার্থিতা বাতিল হয়েছে। সেখানে বর্তমানে বিএনপির কোনো প্রার্থী নেই।

রংপুর-৩ (সদর) ও রংপুর-৬ (পীরগঞ্জ) আসনে বিএনপির প্রার্থীর কর্মী-সমর্থক ও দলের নেতা-কর্মীদের নানাভাবে হয়রানির অভিযোগ আছে। রংপুর-৩ আসনে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী পিপলস পার্টির রিটা রহমান, রংপুর-৬ আসনে বিএনপির প্রার্থী সাইফুল ইসলাম। সাইফুল ইসলাম অভিযোগ করেন, ভোটের তারিখ এগিয়ে আসায় আগের চেয়ে বিএনপির নেতা-কর্মীদের হয়রানি করা বেড়েছে।

রাজশাহীর তিনটি আসনে বাধাহীন প্রচার
রাজশাহীর ছয়টি আসনের মধ্যে তিনটি আসনের নির্বাচনী পরিবেশ মোটামুটি শান্তিপূর্ণ। পোস্টার ছেঁড়ার অভিযোগ থাকলেও সব প্রার্থীই বিনা বাধায় নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা চালাতে পারছেন। বাকি তিনটি আসনে বিএনপির নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার ও হামলার অভিযোগ রয়েছে।

রাজশাহী সদর (সিটি করপোরেশন এলাকা) আসনের বিএনপির প্রার্থী মিজানুর রহমান মিনু অনেকটা বাধাহীনভাবে নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছেন। নেতা-কর্মীরাও স্বতঃস্ফূর্তভাবে মাঠে আছেন। তবে পাল্টাপাল্টি পোস্টার ছেঁড়ার অভিযোগ আছে।

রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) আসনে গণসংযোগকালে বিএনপির প্রথম প্রার্থী নাদিম মোস্তফা হামলার শিকার হন। তাঁর প্রার্থিতা বাতিল হয়ে গেলে বিএনপির নতুন প্রার্থী নজরুল ইসলাম এখন পর্যন্ত বাধাহীনভাবে প্রচারণা চালিয়ে যেতে পারছেন বলে কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে।

রাজশাহী-৬ (চারঘাট-বাঘা) আসনে এখন বিএনপির কোনো প্রার্থী নেই। ধানের শীষের প্রার্থী আবু সাঈদ চাঁদের প্রার্থিতা বাতিল হয়ে গেছে। এই আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শাহরিয়ার আলমের প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামী আন্দোলন ও জাতীয় পার্টির প্রার্থী। তাঁদের প্রচার কার্যক্রম সীমিত, বাধা–বিপত্তিরও অভিযোগ নেই।

তবে ভিন্ন চিত্র রাজশাহী-১,২ ও ৪ আসনে। রাজশাহী-১ (তানোর-গোদাগাড়ী) আসনে বিএনপির প্রার্থী আমিনুল হকের পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা, কার্যালয় ভাঙচুর করা, নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করার অভিযোগ রয়েছে। আমিনুল হক গতকাল রাজশাহীতে সংবাদ সম্মেলন করে অভিযোগ করেন, তিনি শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচনী প্রচার চালাতে পারছেন না।

রাজশাহী-২ (পবা-মোহনপুর) আসনের বিএনপির প্রার্থী শফিকুল হকের এক সমর্থককে তুলে নিয়ে পায়ে গুলি করা এবং কয়েকজন নেতাকে গ্রেপ্তার করার ঘটনা ঘটেছে।

রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনের বিএনপির প্রার্থী আবু হেনার গাড়িতে হামলা, তাঁর পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা ও প্রচারে বাধার অভিযোগ রয়েছে। তিনি সংবাদ সম্মেলন করে বলেছেন, বাধাহীনভাবে প্রচার-প্রচারণা করতে পারছেন না তিনি।

দিনাজপুরে সহিংসতা কম, তবে বাধার অভিযোগ আছে
দিনাজপুরের চারটি আসনে নির্বাচনী প্রচারণায় বিচ্ছিন্নভাবে হামলার ঘটনা ঘটলেও বড় ধরনের সহিংসতার ঘটনা ঘটেনি। তবে হামলা-মামলা ও গ্রেপ্তার–আতঙ্কে আছেন বিএনপির নেতা-কর্মী ও সমর্থকেরা। দিনাজপুর-১ (বীরগঞ্জ-কাহারোল) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মনোরঞ্জন শীল গোপাল একতরফা প্রচার চালাচ্ছেন। শহরজুড়ে কেবল নৌকার পোস্টার। অন্যদিকে ধানের শীষের প্রার্থী বীরগঞ্জ পৌর মেয়র মোহাম্মদ হানিফ গ্রেপ্তার–আতঙ্কের পাশাপাশি ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীদের ভয়ে ঠিকমতো প্রচার চালাতে পারছেন না বলে অভিযোগ করেন। এর মধ্যে গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপজেলার মরিচা ইউনিয়নের গোপালগঞ্জ এলাকায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সমর্থকদের সংঘর্ষ হয়। এ সময় তিনটি মোটরসাইকেল ও একটি মাইক্রোবাস ভাঙচুর করা হয়।

দিনাজপুর-২ (বিরল-বোচাগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও বিএনপির সাদিক রিয়াজ চৌধুরী। নৌকার পোস্টারে, গণসংযোগে এলাকা সরব। রিয়াজ চৌধুরীও বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন, পথসভা করছেন। তবে গত সোমবার তিনি দিনাজপুর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তাঁকে নির্বাচনী প্রচারণায় বাধা দিচ্ছেন।

দিনাজপুর-৪ (চিরিরবন্দর-খানসামা) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। প্রচারে তিনি অনেক এগিয়ে। বিএনপির ভোটব্যাংক বলে খ্যাত এই আসনে ধানের শীষের প্রার্থী সাবেক সাংসদ আকতারুজ্জামান মিয়া। এলাকায় তাঁর পোস্টার, ব্যানার খুব একটা নেই। তবে তিনি উঠান বৈঠক করছেন।

মৌলভীবাজারে গ্রেপ্তার–ভীতি, তবু মাঠে
মৌলভীবাজার জেলার চারটি আসনেই প্রচারণায় আছেন বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীরা। তবে নেতা-কর্মীদের মধ্যে মামলা ও গ্রেপ্তার–ভীতি আছে। কয়েকটি স্থানে বিএনপি প্রার্থীর সভামঞ্চ ভাঙচুরের অভিযোগ আছে।

মৌলভীবাজার-১ (বড়লেখা-জুড়ী) আসনে বিএনপির প্রার্থী নাসির উদ্দিন আহমেদ। তিনি তাঁর নির্বাচনী এলাকার বিভিন্ন স্থানে সভা-সমাবেশ করছেন। মৌলভীবাজার-২ (কুলাউড়া) আসনে ধানের শীষ নিয়ে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদ। তিনিও নেতা-কর্মী নিয়ে প্রচারণায় আছেন, সভা-সমাবেশ করছেন। তবে গত কয়েক দিনে দুটি স্থানে তাঁর সভামঞ্চ ভাঙচুরের অভিযোগ আছে। মৌলভীবাজার-৩ (মৌলভীবাজার সদর-রাজনগর) আসনে বিএনপির প্রার্থী হচ্ছেন নাসের রহমান। নাসের রহমান দলীয় নেতা-কর্মীসহ মৌলভীবাজার সদর ও রাজনগর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় নির্বাচনী প্রচার চালাচ্ছেন। মৌলভীবাজার-৪ (শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জ) আসনে বিএনপির প্রার্থী মুজিবুর রহমান চৌধুরীও মাঠে আছেন। তবে অনেক নেতা-কর্মীর নামে মামলা থাকায় ছোট ছোট দলে বিভক্ত হয়ে তাঁর প্রচারণা চালানো হচ্ছে।

কিশোরগঞ্জ–৩ আসনে অভিযোগ কম
কিশোরগঞ্জের ছয়টি আসনের চারটিতে বিএনপির প্রার্থী ও সমর্থকদের প্রচারে বাধার অভিযোগ আছে। তবে কিশোরগঞ্জ-৩ (করিমগঞ্জ-তাড়াইল) ও কিশোরগঞ্জ-২ (পাকুন্দিয়া-কটিয়াদী) আসনে এই অভিযোগ কম। তবে গত সোমবার রাতে কিশোরগঞ্জ-২ আসনের কটিয়াদী উপজেলার বীর নোয়াকান্দি এলাকায় বিএনপির প্রার্থী মেজর (অব.) মো. আখতারুজ্জামানের নির্বাচনী উঠান বৈঠকে হামলার ঘটনা ঘটে। এতে আখতারুজ্জামান আহত হন। তিনি এ হামলার জন্য পুলিশকে দোষারোপ করেন। ঘটনার পর আওয়ামী লীগের প্রার্থী পুলিশের সাবেক আইজি নূর মোহাম্মদ তাঁর খোঁজখবর নেন।

কিশোরগঞ্জ-৩ আসনে মহাজোটের প্রার্থী জাতীয় পার্টির নেতা শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী সাইফুল ইসলাম ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন। গত সোমবার তাড়াইলে মহাজোটের প্রার্থী মুজিবুল হকের নির্বাচনী সভাকালে তাঁর সভায় হঠাৎ ঢুকে পড়েন ধানের শীষের প্রার্থী সাইফুল ইসলাম। দুই প্রার্থী করমর্দন ও কোলাকুলি করলে উপস্থিত সবাই হাততালি দিয়ে তাঁদের স্বাগত জানান।

নির্বাচনী প্রচারের বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস গতকাল রাতে মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, এমন কোনো আসন নেই যেখানে হামলা বা গ্রেপ্তারের ঘটনা নেই। তাঁর প্রশ্ন এ অবস্থায় বিএনপি কীভাবে নির্বাচন করবে।

[প্রতিবেদন তৈরিতে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করেছেন সংশ্লিষ্ট এলাকার প্রতিনিধি ও সংবাদদাতারা]