নির্বাচনী সহিংসতায় আহত আরও একজনের মৃত্যু

নির্বাচনী সহিংসতায় আহত আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁর নাম মো. রিংকু (৩৪)। তিনি চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলায় নৌকা প্রতীকের নির্বাচনী মিছিলে দুর্বৃত্তের বোমা হামলায় আহত হয়েছিলেন। ঘটনার ১১ দিন পর গতকাল সোমবার বিকেলে তিনি রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

এর আগে নির্বাচনকালীন সহিংসতায় রাজশাহী, কুমিল্লা ও লালমনিরহাটে আহত তিনজনের মৃত্যু হয়। তাঁদের মধ্যে দুজন গতকাল সোমবার সকালে এবং অন্যজন রোববার বিকেলে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তাঁদের মধ্যে একাদশ সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণের দিন দুজন এবং এর আগের রাতে একজন আহত হয়েছিলেন।

আজ মঙ্গলবার চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে রিংকুর লাশ নিজ এলাকায় দাফন করা হয়। রিংকু জীবননগর উপজেলার হাসাদহ ইউনিয়নের কাটাপোল গ্রামের ইন্তাজ আলীর ছেলে ও পেশায় দরজি ছিলেন। হাসাদহ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ইউপি চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম নিহত রিংকুকে আওয়ামী লীগ কর্মী বলে দাবি করেছেন।

পুলিশ ও স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, গত ২০ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় হাসাদহ বাজারে নৌকা প্রতীকের মিছিলে দুর্বৃত্তরা বোমা হামলা চালায়। ওই সময় মিছিলে থাকা মো. রিংকু গুরুতর আহত হন। ঘটনার পর তাঁকে জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হলেও সংকটাপন্ন অবস্থায় ওই রাতেই তাঁকে যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও পরে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল বিকেলে মারা যান রিংকু। রাতেই লাশ গ্রামে আনা হলে পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। ময়নাতদন্ত শেষে আজ বিকেলে কাটাপোল গ্রামে দাফন করা হয়।

বোমা হামলার ঘটনায় নিহত রিংকুর ভগ্নিপতি হাসাদহ গ্রামের মো.সহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে পরের দিন মামলা করে। মামলায় ১৫৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ৬০-৭০ জনকে আসামি করা হয়। মামলার আসামিরা স্থানীয় বিএনপি ও জামায়াতের নেতা-কর্মী। পুলিশ ইতিমধ্যে ওই মামলার এজাহারভুক্ত ১০ জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে চুয়াডাঙ্গা জেলা কারাগারে পাঠিয়েছে।

জীবননগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ গণি মিয়া প্রথম আলোকে জানান, আইনগত কারণে রিংকুর লাশ ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। তিনি বলেন, ২১ ডিসেম্বর দায়ের করা মামলাটির সঙ্গে নতুন করে ধারা যোগ হয়ে তা হত্যা মামলায় পরিণত হবে।