আইনজীবী মইনুলকে বিএসএমএমইউতে ভর্তির নির্দেশ

ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন। ফাইল ছবি।
ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন। ফাইল ছবি।

সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা মইনুল হোসেনকে অবিলম্বে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) ভর্তি করে চিকিৎসাসেবা দিতে কারা কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আইনজীবী মইনুল ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে আছেন।

বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ বৃহস্পতিবার ওই আদেশ দেন। মইনুল হোসেনকে হাসপাতালে ভর্তির জন্য নির্দেশনা চেয়ে তাঁর স্ত্রীর সাজু হোসেনের করা এক আবেদনের শুনানি নিয়ে এ আদেশ দেওয়া হয়।

আদালতে মইনুল হোসেনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন, সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মো. আবদুর রহিম ও এম মাসুদ রানা। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী জিনাত হক।

আদেশের বিষয়টি জানিয়ে আইনজীবী আবদুর রহিম প্রথম আলোকে বলেন, বিএসএমএমইউতে ভর্তির পর মইনুল হোসেনের স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও চিকিৎসা সেবা শেষে শারীরিক অবস্থা স্বাভাবিক হলে—এই বিষয়টি আদালতকে অবহিত করতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এর আগে গত ২৯ নভেম্বর হাইকোর্ট এক আদেশে একটি মেডিকেল বোর্ড গঠনের মাধ্যমে বিএসএমএমইউতে মইনুল হোসেনের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে আদালতে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেন। এর ধারাবাহিকতায় ওই প্রতিবেদন জমা পড়ে।

আবদুর রহিম জানান, বোর্ডের ওই প্রতিবেদনে মইনুল হোসেনকে হাসপাতালে ভর্তি করে স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও চিকিৎসাসেবা দেওয়ার সুপারিশ ছিল। এরপর ওই নির্দেশনা চেয়ে গতকাল বুধবার আবেদনটি করা হয়।

গত ১৬ অক্টোবর একাত্তর টেলিভিশন চ্যানেলের একটি টক শোতে আলোচনার একপর্যায়ে সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টিকে ‘চরিত্রহীন’ বলে মন্তব্য করেন মইনুল হোসেন। তাঁর এই মন্তব্যের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় ওঠে। এ ঘটনায় ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে এখন পর্যন্ত ২২টি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে ২০টি মানহানির মামলা এবং অপর ২টি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলা। এর মধ্যে রংপুরে মানহানির অভিযোগে করা এক মামলায় ২২ অক্টোবর রাতে রাজধানীর উত্তরায় জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রবের বাসা থেকে মইনুল হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়।