যৌতুকের মামলায় পুলিশের এএসআই কারাগারে

নেত্রকোনায় স্ত্রীর দায়ের করা যৌতুক মামলায় পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মাজহারুল ইসলামকে (৩৫) কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে নেত্রকোনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করলে বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে তাঁকে কারাগারে পাঠিয়ে দেন।

পুলিশ কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলামের বাড়ি মদন উপজেলার শিবাশ্রম গ্রামে। তিনি বর্তমানে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশে (ডিএমপি) কর্মরত। তাঁর স্ত্রীর নাম নিলুফার ইয়াসমিন ওরফে লাকী (২৪)।

স্থানীয় বাসিন্দা ও আদালতসংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মদনের শিবাশ্রম গ্রামের মৃত আবদুল হাকিমের ছেলে মাজহারুল ইসলামের সঙ্গে ২০১৩ সালের ২২ জুন নেত্রকোনা পৌর শহরের কাটলি এলাকার বাসিন্দা আবদুল ওয়াদুদের মেয়ে নিলুফার ইয়াসমিনের বিয়ে হয়। বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই মাজহারুল ইসলাম তাঁর স্ত্রীকে বাবার বাড়ি থেকে যৌতুকের টাকা আনার জন্য নানানভাবে চাপ দেন। এরপর নিলুফার তাঁর বাবার কাছ থেকে ১ লাখ টাকা এনে দেন। পরে তাঁর স্বামী মোটরসাইকেল কেনার কথা বলে আরও টাকা আনার জন্য চাপ দিতে থাকেন। ২০১৭ সালের ৩ মে স্ত্রী নিলুফারকে ৩ লাখ টাকা এনে দিতে বলেন মাজহারুল। টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় নিলুফারকে বিভিন্ন সময় শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করেন মাজহারুল। এতে মাজহারুলকে প্ররোচিত করেন তাঁর বড় ভাই ও মা। এই ঘটনায় ২০১৮ সালের ৩০ অক্টোবর নিলুফার ইয়াসমিন বাদী হয়ে স্বামী মাজহারুল ইসলাম, শাশুড়ি হোসনা আক্তার ও ভাশুর আজহারুল ইসলামের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। ওই মামলায় মাজহারুল ইসলাম বৃহস্পতিবার হাজিরা দিতে গেলে বিচারক তাঁর জামিন নামঞ্জুর কারাগারে পাঠান।

নারী ও শিশু নির্যাতন মামলায় মাজহারুল ইসলামকে কারাগারে পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নেত্রকোনার কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক গোলক চন্দ্র বসাক।