জিএম কাদের ফিরলেন, বাকি দুজন পুনর্নির্বাচিত

>

এর মধ্যে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে দুজন ও জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকে একজন জয়ী হয়েছেন।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে লালমনিরহাটের তিনটি সংসদীয় আসনই পেয়েছেন মহাজোট মনোনীত প্রার্থীরা। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে দুজন ও জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকে একজন। এবার নিয়ে একাধিকবার সাংসদ নির্বাচিত হলেন তাঁরা।

লালমনিরহাট-১ (হাতীবান্ধা-পাটগ্রাম) আসনে নির্বাচিত হয়েছেন মো. মোতাহার হোসেন। তিনি লালমনিরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী। ২০০১ সালে অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রথমবার আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জয়ী হন। ২০০৮ এবং ২০১৪ সালেও তিনি সাংসদ নির্বাচিত হন। ২০১৮ সালের একাদশ সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার মাধ্যমে তিনি এই আসন থেকে টানা চারবার সাংসদ নির্বাচিত হলেন। তিনি ভোট পান ২ লাখ ৬৩ হাজার ৬২ এবং তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির মো. হাসান রাজীব প্রধান পেয়েছেন ১২ হাজার ১৫৭ ভোট।

লালমনিরহাট-২ (আদিতমারী-কালীগঞ্জ) আসনে জয়ী হয়েছেন নুরুজ্জামান আহমেদ। তিনি কালীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী। তিনি ২০১৪ সালের নির্বাচনে প্রথমবার সাংসদ নির্বাচিত হন। তিনি এবারের নির্বাচনে ১ লাখ ৯৮ হাজার ৫৪২ ভোট পান এবং তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির রোকন উদ্দিন ৭৮ হাজার ১৯৩ ভোট পেয়েছেন।

এই আসনের মোট ভোট ৩ লাখ ৪৬ হাজার ৩৩৮টি। লালমনিরহাট-৩ (সদর) আসনে জয় পেয়েছেন জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান জি এম কাদের। তিনি এই আসন থেকে ১৯৯৬ ও ২০০৮ সালে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে নির্বাচিত হন। এবারের নির্বাচনে তিনি ১ লাখ ১৫ হাজার ৯৪৩ ভোট পান এবং তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব দুলু ৮১ হাজার ৩৯৯টি ভোট পেয়েছেন।

জেলায় তিনটি সংসদীয় আসনের মোট ভোটার ৯ লাখ ১৬ হাজার ৬৪৬ জন। এর মধ্যে ৭ লাখ ৭৮ হাজার ৯৭৪টি ভোট পড়েছে। ভোট পড়ার হার ৮৪ দশমিক ৯৮ শতাংশ। এর মধ্যে আওয়ামী লীগ ৪ লাখ ৬১ হাজার ৬০৪, বিএনপি ১ লাখ ৭১ হাজার ৭৪৯ ভোট, জাতীয় পার্টি ১ লাখ ১৮ হাজার ২৬২ এবং অন্যান্য রাজনৈতিক দল ২৭ হাজার ৩৫৯ ভোট পেয়েছে।

রাজনৈতিক দলগুলোর প্রাপ্ত ভোট

জাতীয় পার্টি ১,১৮,০৬২

বিএনপি ১,৭১,৭৪৯

আওয়ামী লীগ ৪,৬১,৬০৪

অন্যান্য ২৭,৩৫৯