গৌরনদীতে আ.লীগের দুপক্ষের সংঘর্ষে আহত ৮, মামলা

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

বরিশালের গৌরনদীতে আওয়ামী লীগের দুপক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা হয়েছে। আজ শুক্রবার একপক্ষ থানায় মামলাটি করে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলের ওই সংঘর্ষে আহত হন অন্তত আটজন। তাঁদের মধ্যে পাঁচজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

প্রত্যক্ষদর্শী, স্থানীয় লোকজন ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার খাঞ্জাপুর ইউনিয়নের পূর্ব ডুমুরিয়া গ্রামের ইউপি সদস্য ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য কবির হাওলাদার ও আওয়ামী লীগের কর্মী কেরামত ব্যাপারীর সমর্থকদের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। নির্বাচনের পর এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এই বিরোধ নতুন মাত্রা পায়। এ বিরোধের জেরে কেরামত ব্যাপারীর সমর্থক সাইফুল ব্যাপারীর নেতৃত্বে ১০ থেকে ১২ জন গতকাল বিকেলে কবির হাওলাদারের সমর্থক আজগর মৃধার বাড়িতে হামলা চালিয়ে তাঁর স্ত্রী রিজিয়া বেগমকে পিটিয়ে আহত করেন। পরে এ খবর ছড়িয়ে পড়লে ইউপি সদস্য কবির হাওলাদারের সমর্থকেরা দেশীয় ধারালো অস্ত্র নিয়ে পাল্টা হামলা চালান। এরপর উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এই সংঘর্ষে কমপক্ষে আটজন আহত ও একটি বসতঘর ভাঙচুর হয়। আহতদের মধ্যে পাঁচজন হলেন, কেরামত ব্যাপারীর সমর্থক মালেক ব্যাপারী (৭০), আদেল ঘরামি (২৮), ফরিদা বেগম (৩৫), শাহিনুর বেগম (৩৫) ও কবির হাওলাদারের সমর্থক রিজিয়া বেগম (৩০)। আহত বাকি তিনজন কবির হাওলাদারের সমর্থক। আহত লোকজনের মধ্যে মালেক ব্যাপারী ও আদেল ঘরামিকে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং ফরিদা বেগম, শাহিনুর বেগম ও রিজিয়া বেগমকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। ভাঙচুর হয় কবির হাওলাদারের সমর্থক ফারুক ব্যাপারীর বসতঘর।

কবির হাওলাদার ও কেরামত ব্যাপারী হামলার জন্য পরস্পরকে দায়ী করছেন। গৌরনদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম সরোয়ার বলেন, এ ব্যাপারে কেরামত ব্যাপারী ১৫ জনকে আসামি করে থানায় একটি মামলা করেছেন। অপরপক্ষ এখনো থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়নি।