ছাত্রলীগ নেতার বাবা হত্যায় মামলা, গ্রেপ্তার ২৬

কুষ্টিয়া সদর উপজেলার পশ্চিম আব্দালপুর গ্রামে ছাত্রলীগ নেতার বাবা মইনুদ্দিনকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা হয়েছে। অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে আরও ১০ জনকে। 

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানায় সোমবার বিকেলে এ মামলা করেন নিহত মইনুদ্দিনের ছেলে জুয়েল রানা হালিম। জুয়েল ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক।

মামলায় আব্দালপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফার ভাতিজা রেজাউল হককে প্রধান আসামি করা হয়েছে। এদিকে হত্যাকাণ্ডের পর থেকে পুলিশ এলাকায় সাধারণ মানুষকে হয়রানি করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ পর্যন্ত ২৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

মামলার বাদী জুয়েল প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার বাবাকে যারা হত্যা করেছে তাদের নামে থানায় এজাহার দিয়েছি। দ্রুত সময়ের মধ্যে আসামিদের গ্রেপ্তারের জোর দাবি জানাই।’

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন এলাকাবাসী অভিযোগ করেন, সাধারণ লোকজনকে ধরে নিয়ে মামলায় চালান দেওয়া হচ্ছে। কেউ কেউ মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে ছাড়া পেয়ে যাচ্ছেন। সোমবার দুপুরে ইউপি চেয়ারম্যান আলী হায়দার স্বপনের সমর্থক আব্বাস আলী ও আমীর মণ্ডলকে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার পুলিশ ধরে নিয়ে যায়। তাঁদের বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে আব্দালপুর পুলিশ ক্যাম্পে বসিয়ে রাখা হয়। পরে সেখান থেকে বিকেলে হরিনারায়ণপুর পুলিশ ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয়। দুজনকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে তাঁদের পরিবার থেকে অভিযোগ করা হয়েছে।

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রতন শেখ বলেন, মইনুদ্দিন হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা হয়েছে। গত দুই দিনে ২৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে একজনের নাম এজাহারে রয়েছে। বাকি ২৫ জন সন্দেহভাজন আসামি। তাঁদের সবাইকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

ওসি আরও জানান, এজাহারভুক্ত আসামিদের ধরতে পুলিশ অভিযান অব্যাহত রেখেছে। এলাকায় নিয়মিত পুলিশ টহল রয়েছে। নিরীহ কোনো লোকজনকে আটক করা হচ্ছে না। এলাকাবাসীর অভিযোগের কোনো ভিত্তি নেই।

অভিযোগ উঠেছে, গতকাল রোববার সকালে আব্দালপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফার লোকজন মইনুদ্দিনকে কুপিয়ে হত্যা করেন। মইনুদ্দিন একই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলী হায়দার স্বপনের চাচাতো ভাই।