টেকনাফে 'বন্দুকযুদ্ধে' নিহত ২

কক্সবাজারের টেকনাফে র‌্যাবের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে মো. হাফেজুর রহমান (৩৫) ও ছাব্বির হোসেন (২৫) নামে দুই ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। র‌্যাবের দাবি, নিহত দুজনই মাদক ব্যবসায়ী। গতকাল সোমবার দিবাগত রাতে টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের দমদমিয়া এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে।

নিহত হাফেজুরের বাড়ি ঢাকার সাভারের নগর কুন্ডা এলাকায় আর ছাব্বিরের বাড়ি বাগেরহাটের চিতলমারির বরবাড়িয়া এলাকায়।

র‌্যাবের ধারণা, টেকনাফ থেকে ইয়াবার চালানটি ঢাকায় পাচারের উদ্দেশে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল।

র‌্যাব-৭ টেকনাফ ক্যাম্পের ভারপ্রাপ্ত সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মো. শাহ আলম প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল দিবাগত রাতে টেকনাফের হ্নীলার দমদমিয়া এলাকায় টেকনাফ থেকে কক্সবাজারগামী একটি কাভার্ডভ্যানকে থামতে সংকেত দেয় র‌্যাব সদস্যরা। এ সময় গাড়িটি উল্টো দিকে ঘুরিয়ে পালানোর চেষ্টা করলে র‌্যাব গাড়িটির পেছনে ধাওয়া করে। এ সময় তারা র‌্যাব সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়। র‌্যাবও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালায়। একপর্যায়ে গাড়িটি থামিয়ে দুজন মাদক ব্যবসায়ী পালিয়ে যায়। পরে গাড়ি থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় দুজনকে উদ্ধার করে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাঁদের মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় র‌্যাবের তিনজন সদস্যকে আহত হয়েছে বলে জানান তিনি।

র‌্যাবের দাবি ঘটনাস্থল থেকে ৪০ হাজার ইয়াবা বড়ি, একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ওয়ান শুটার গান, ১১টি গুলি ও একটি কাভার্ডভ্যান গাড়ি জব্দ করা হয়েছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক প্রণয় রুদ্র বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই দুজনের মৃত্যু হয়। দুজনের শরীরে দুটি করে গুলির চিহ্ন পাওয়া গেছে। র‌্যাবের তিন সদস্য নুরুল আলম, মোহাম্মদ কাসেদ ও মোহাম্মদ রাশেদকে চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

টেকনাফ মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) এবিএমএস দোহা বলেন, র‌্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় নিহত দুজনের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় র‌্যাব বাদী হয়ে মামলার প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

গত ৪ মে দেশব্যাপী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিশেষ মাদক বিরোধী অভিযান শুরু হয়। এ নিয়ে র‌্যাব-পুলিশের বন্দুকযুদ্ধ ও এলাকায় মাদকের প্রভাব বিস্তারের ঘটনায় শুধুমাত্র টেকনাফে ৩০জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে দুজনের বাড়ি ঢাকার সাভারে আর নারায়ণগঞ্জ, ময়মনসিংহ, বাগেরহাট ও চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় একজন করে এবং তিনজন মিয়ানমারের রোহিঙ্গা নাগরিক। বাকি ২১জনের বাড়ি টেকনাফ উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের বাসিন্দা।