বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে বিশেষ কর্মপরিকল্পনা, জানালেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী

কে এম খালিদ
কে এম খালিদ

সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়কে শ্রেষ্ঠ মন্ত্রণালয়ে পরিণত করতে চান নবনিযুক্ত সংস্কৃতিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। এ লক্ষ্যে মন্ত্রণালয়ের কাজের অগ্রাধিকার তালিকা করে দ্রুততার সঙ্গে সেগুলো সম্পন্ন করবেন তিনি।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সচিবালয়ে প্রথম কর্মদিবসে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পক্ষ থেকে অভিনন্দন জ্ঞাপন ও মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিতকরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী। এ সময় তিনি বলেন, আমাদের সামনে দুটি গুরুত্বপূর্ণ বর্ষ রয়েছে। একটি হলো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী পালন ও অপরটি হলো মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদ্‌যাপন। এ উপলক্ষে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বিশেষ কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করা হবে।

কে এম খালিদ বলেন, ‘জাতির জনকের নেতৃত্বে এ দেশ স্বাধীন হয়েছিল বলেই আজ আমরা স্বাবলম্বী হয়েছি, বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা ভোগ করছি। তাঁরই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী ও বিচক্ষণ নেতৃত্বে বিগত ১০ বছরে আমরা উন্নয়নের মহাসড়কে প্রবেশ করেছি। এ ধারা অব্যাহত রাখা ও চলমান কার্যক্রম এগিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী আস্থা রেখে আমার ওপর এ মহান দায়িত্ব অর্পণ করেছেন। আমি সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে আমার ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করতে চাই।’

কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্দেশে প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেন, ‘আর্থিক স্বচ্ছতা ও সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করুন। সমাজের ইতিবাচক দিকগুলো তুলে ধরুন। এমন কিছু করবেন না যাতে জনগণের মাঝে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়।’

অনুষ্ঠানে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিবের রুটিন দায়িত্বে নিয়োজিত অতিরিক্ত সচিব রোকসানা মালেক, অতিরিক্ত সচিব মো. নিজাম উদ্দিন, মো. আব্দুল মান্নান ইলিয়াস, প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মো. আলতাফ হোসেন, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হাবিবুল্লাহ সিরাজী, বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের পরিচালক কবি রবীন্দ্র গোপসহ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং অধীনস্থ দপ্তর-সংস্থার প্রধানেরা উপস্থিত ছিলেন।