হাইকোর্ট মাজারে চুরির ঘটনায় এখন পর্যন্ত নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা চারজনকে গ্রেপ্তার করা হলেও প্রকৃত অপরাধী কে—তা নিয়ে ধোঁয়াশা কাটেনি। চোরকে ধরিয়ে দিতে আজ বুধবার ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে।
হাইকোর্ট মাজারে চুরির ঘটনা ঘটে গত ২২ ডিসেম্বর। পরদিন মাজারের হিসাবরক্ষক আসাদুজ্জামান শাহবাগ থানায় মামলা করেন। মামলার অনুলিপিতে তিনি খোয়া যাওয়া বিদেশি টাকার পরিমাণ ৪৯,০৫,৫৫৭, নগদ টাকা ৬,১২,১০৪ ও ১,৭৫, ০০০ টাকা মূল্যমানের সাড়ে তিন ভরি স্বর্ণ বলে উল্লেখ করেন। খোয়া যাওয়া বিদেশি অর্থের মধ্যে ভারতীয় রুপি, সৌদি রিয়াল, মার্কিন ডলার, পাউন্ড, মালয়েশিয়ান ডলার, পাকিস্তানি রুপি, কানাডিয়ান ডলার, দিরহাম, সিঙ্গাপুরি ডলার, অস্ট্রেলিয়ান ডলার, ইউরো, চীনা ইয়েন, তুরস্কের লিরা, ইরাকি দিনার, ফিলিপাইনের পেসো, সংযুক্ত আরব আমিরাতের দিরহাম, ওমানের রিয়াল, চায়না গোল্ড ও কয়েন ছিল।
কবে সিন্দুকগুলো শেষ খোলা হয়েছিল এবং টাকার অঙ্ক কীভাবে ঠিক হলো, তা জানতে আসাদুজ্জামানকে ফোন করা হলে তিনি কোনো কথা বলতে রাজি হননি।
ভিডিও প্রকাশ
এদিকে, বুধবার ডিএমপি ৫ মিনিট ২৬ সেকেন্ডের একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে। ডিএমপি চোর ধরায় নাগরিকদের সাহায্য কামনা করেছে। ভিডিও ফুটেজে কালো রঙের পোশাক ও মাথায় একই রঙের ‘মাংকি ক্যাপ’ পরা এক ব্যক্তিকে দেখা যায়। তালা ভাঙার জন্য এক হাতে ছিল আঁকশির মতো একটা কিছু, অন্য হাতে হালকা কমলা রঙের একটা কাপড়। তিনি একটি কক্ষ ঘুরে গিয়ে বড় একটা থলি নিয়ে আসেন ও তাঁর কাজ শুরু করেন। প্রথমে একটি সিন্দুক ভেঙে লাল রঙের পোঁটলা বের করেন, পরে খোলেন আরেকটি সিন্দুক।
মাজারের ১১টি সিন্দুক থেকে চুরি হয়েছে। তবে ভিডিওতে সবগুলো সিন্দুক খোলার ছবি নেই। ভিডিওতে দেখা যায়, একপর্যায়ে বেশ সময় নিয়ে কলাপসিবল গেটের তালাও খুলে ফেলেন ওই ব্যক্তি। বেরিয়ে গিয়ে ইতিউতি দেখেন। তারপর তাঁকে দেখা যায় সাদা শার্ট–কালো প্যান্ট পরা অবস্থায়। তিনি বেশ স্বাভাবিক ভঙ্গিতেই মাজারসংলগ্ন মসজিদের ভেতর ঘোরাফেরা করেন। কলাপসিবল গেট বন্ধ করে দিয়ে থলে নিয়ে ফিরে যান।
এই ব্যক্তি সম্পর্কে কোনো তথ্য পেলে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) ০১৭১৩৩৭৩১২৫ এবং মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) মনছুর আহম্মেদকে ০১৭২১৪৭১৪৬১ নম্বরে যোগাযোগ করার অনুরোধ জানিয়েছে পুলিশ।