কোচিং বাণিজ্যের অভিযোগ পেয়ে রাজধানীর উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অভিযানের সময় স্কুল অ্যান্ড কলেজ কর্তৃপক্ষ ৩০ জন শিক্ষককে কারণ দর্শাও নোটিশ দিয়েছে।
দুদক সূত্র জানিয়েছে, আজ রোববার এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। দুদকের উপপরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য জানান, উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজে কোচিং-বাণিজ্য হচ্ছে মর্মে দুদক হটলাইনে (১০৬) অভিযোগ পায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ওই স্কুলে অভিযান চালায় দুদকের দল। সহকারী পরিচালক মো. জাভেদ হাবীব এবং উপসহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়ার সমন্বয়ে গঠিত একটি দল আকস্মিকভাবে এ অভিযান পরিচালনা করে।
দুদক জানায়, ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা ২০১৭ সালে অঙ্গীকারনামা দিয়েছিলেন, ভবিষ্যতে কোচিং করাবেন না। তারপরও নীতিমালা ভঙ্গ করে শিক্ষার্থীদের কোচিং করতে বাধ্য করছেন। দুদক দলের নির্দেশে তাৎক্ষণিকভাবে এ অনিয়মের সঙ্গে জড়িত ৩০ জন শিক্ষকের বিরুদ্ধে কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করে স্কুল অ্যান্ড কলেজ কর্তৃপক্ষ।
নবম শ্রেণির কয়েকজন শিক্ষার্থী বার্ষিক পরীক্ষায় বেশ কয়েকটি বিষয়ে অকৃতকার্য হওয়া সত্ত্বেও একজন শ্রেণিশিক্ষক তাদের দশম শ্রেণিতে ভর্তি করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন মর্মে দুদক তথ্য পায়। এ অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
জানতে চাইলে উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. আবুল হোসেনও বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ওই শিক্ষকেরা কোচিংয়ে না জড়ানোর বিষয়ে অঙ্গীকার করলেও তা পালন করেননি। তাই তাঁদের নোটিশ দেওয়া হয়েছে। নোটিশের সন্তোষজনক জবাব না পেলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে রাজধানীর মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল ও কলেজে ভিআইপি কোটায় ভর্তি-বাণিজ্যের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে ১৭ জানুয়ারি দুদকের একটি দল ওই স্কুলে অভিযান চালায়। দলটি প্রাথমিকভাবে অভিযোগের সত্যতা পায় এবং এ বিষয়ে অধিকতর যাচাই চলমান রয়েছে।
এ প্রসঙ্গে দুদকের এনফোর্সমেন্ট টিমের সমন্বয়ক মহাপরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী বলেন, ‘ভর্তি এবং কোচিং-বাণিজ্যসংক্রান্ত যাবতীয় অভিযোগের বিষয় দুদক গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। এ ছাড়া দুদকের তৎপরতায় শিক্ষাসংক্রান্ত অভিযোগে দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’