পছন্দের প্রার্থীর বাইরে গেলে বারোটা বাজবে

গোপীনাথপুর উচ্চবিদ্যালয় মাঠে বক্তব্য দিচ্ছেন গোলাম মাহফুজ চৌধুরী। গতকাল বিকেলে ছবি: প্রথম আলো
গোপীনাথপুর উচ্চবিদ্যালয় মাঠে বক্তব্য দিচ্ছেন গোলাম মাহফুজ চৌধুরী। গতকাল বিকেলে ছবি: প্রথম আলো
>

• দলীয় নেতা-কর্মীদের হুঁশিয়ারি আক্কেলপুর উপজেলা আ. লীগ নেতার
• সংসদ নির্বাচনে বিএনপিকে কিছু গণসংযোগ করতে দেওয়া হয়েছিল
• উপজেলা নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থীকে সেই সুযোগ দেওয়া হবে না

জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে স্থানীয় সাংসদ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপনের পছন্দের প্রার্থীর বিরুদ্ধে কেউ অবস্থান নিলে তাঁর বারোটা বাজানো হবে। দলীয় নেতা-কর্মীদের এই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র গোলাম মাহফুজ চৌধুরী ওরফে অবসর।

গতকাল রোববার বিকেলে উপজেলার গোপিনাথপুর উচ্চবিদ্যালয় মাঠে জাতীয় সংসদ নির্বাচনোত্তর ধন্যবাদ জ্ঞাপন অনুষ্ঠানে এই হুঁশিয়ারি দেন গোলাম মাহফুজ। তিনি বলেন, সংসদ নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থীকে কিছু জায়গায় পোস্টার ও গণসংযোগ করতে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থীকে সেই সুযোগ দেওয়া হবে না। কাজেই উপজেলা নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীরা সহজেই বিজয়ী হবেন। একইভাবে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনেও চেয়ারম্যান ও সদস্য পদে দলীয় প্রার্থীকে জয়লাভ করাতে হবে।

গোপিনাথপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আল-ইসরাইলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী মোকছেদ আলী মাস্টার, উপজেলা পরিষদের নারী ভাইস চেয়ারম্যান আছিয়া খানম, আক্কেলপুর সরকারি মুজিবর রহমান (এমআর) ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মোকছেদ আলী।

অনুষ্ঠানের অর্ধেকেরও বেশি সময় ধরে বক্তব্য দেন গোলাম মাহফুজ চৌধুরী। তিনি বলেন, আবদুস সালাম আকন্দ উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দলীয় মনোনয়ন চেয়ে পোস্টার সাঁটিয়েছেন। তিনি দোয়া চাচ্ছেন। দলের কিছু নেতা-কর্মী সালাম আকন্দের পক্ষ নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দিচ্ছেন। এসব পোস্টে দলের কেউ যদি লাইক দেন ও মন্তব্য করেন, তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মোকছেদ আলীকে দলীয় চেয়ারম্যান প্রার্থী দাবি করে মাহফুজ বলেন, ‘সাংসদ একাধিক সভা-সমাবেশে তাঁকে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা দিয়েছেন। তারপরও দলের কিছু নেতা-কর্মী গোপনে সালাম আকন্দের পক্ষ নিয়ে মাতামাতি করছেন। আমি সেসব নেতা-কর্মীকে সতর্ক করছি। উপজেলা আওয়ামী লীগের ৬৭ সদস্যের কমিটির একজনও সালাম আকন্দের পক্ষ নেবেন না।’

মাহফুজ চৌধুরী বলেন, ‘জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সভা-সমাবেশে বলেছিলাম, বিএনপির নেতা-কর্মীদের ঘরের ভেতর থেকে বাইরে বের হতে দেব না। যা বলেছিলাম, তার চেয়ে বেশি হয়ে গেছে। আমি নিজের নিরাপত্তার জন্য শটগানসহ একজন গানম্যান পাচ্ছি। আবার নিজে পিস্তলের জন্য আবেদন করেছি। শিগগিরই গানম্যান ও পিস্তল বরাদ্দ পেয়ে যাব। তখন আমার ও গানম্যানের কাছে দুটি অস্ত্র থাকবে। যখন একজনের কাছে দুটি অস্ত্র থাকবে, তখন কি তাঁর আর ভয় থাকবে?’