উন্নয়নের চমক দেখাতে চাই: এলজিআরডি মন্ত্রী

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় (এলজিআরডি) মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, ‘যেকোনো প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে আর্থসামাজিক গুরুত্ব বিবেচনায় নিতে হবে। কাজের গুণগত মানের ক্ষেত্রে কোনো ধরনের ছাড় দেওয়া যাবে না। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে জনগণ যথাযথ সুবিধা ভোগ করবে। আমরা জনগণকে উন্নয়নের চমক দেখাতে চাই।’

আজ বুধবার সচিবালয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত সভায় এ কথা বলেন তাজুল ইসলাম। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের বাস্তবায়নাধীন ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত প্রকল্পগুলোর অগ্রগতির ওপর এই পর্যালোচনা সভা হয়।

এলজিআরডি মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা জনগণকে উন্নয়নের চমক দেখাতে চাই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুত উন্নত বাংলাদেশ গড়তে আমাদের সামনের দিনগুলোতে অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। অবকাঠামো উন্নয়নে গৃহীত সকল প্রকল্প সময়মতো বাস্তবায়ন করতে হবে।’ তিনি আরও বলেন, দেশের কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে উন্নত গ্রামীণ যোগাযোগব্যবস্থার ভূমিকা সবচেয়ে বেশি। এলজিইডির মাধ্যমে বাস্তবায়িত গ্রামীণ অবকাঠামো প্রকল্পগুলো গ্রামের জীবনযাত্রায় নতুন গতি সঞ্চার করবে।

এলজিআরডিমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রকল্পের কাজের গুণগত মান রক্ষা করে প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট প্রকল্প পরিচালকদের নির্দেশ দেন।

আজকের অনুষ্ঠানে এলজিআরডি প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য বলেন, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের মাধ্যমে বাস্তবায়িত প্রকল্পগুলো সরাসরি প্রান্তিক জনগণের স্বার্থের সঙ্গে জড়িত। প্রকল্প বাস্তবায়নে জনগণের স্বার্থ বিবেচনা করে সবাইকে কাজ করতে হবে।

সভায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত ১৫০ টি প্রকল্পের ওপর পর্যালোচনা করা হয়।