ওয়াসার কর্মকর্তাদের শোধরাতে বললেন মন্ত্রী

আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে ঢাকা ওয়াসার দাপ্তরিক ও উন্নয়ন কার্যক্রম পর্যালোচনা, পরিদর্শন ও মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী(এলজিইডি) মো. তাজুল ইসলাম।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে ঢাকা ওয়াসার দাপ্তরিক ও উন্নয়ন কার্যক্রম পর্যালোচনা, পরিদর্শন ও মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী(এলজিইডি) মো. তাজুল ইসলাম।

অতীতের ত্রুটি-বিচ্যুতির ব্যাপারে সতর্ক না হলে পরিণতি ভালো হবে না বলে ওয়াসার কর্মকর্তাদের হুঁশিয়ার করে দিয়েছেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী (এলজিইডি) মো. তাজুল ইসলাম। কর্মকর্তাদের দুর্বলতা শোধরানোর কথাও বলেছেন তিনি। তা না হলে পরিণতি খারাপ হবে বলে জানান তিনি।

মন্ত্রী আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে ঢাকা ওয়াসার দাপ্তরিক ও উন্নয়ন কার্যক্রম পর্যালোচনা, পরিদর্শন ও মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন।

তাজুল ইসলাম বলেন, ঢাকা মহানগরীসহ সারা দেশে নাগরিক ভোগান্তির জন্য মূলত অব্যবস্থাপনা দায়ী। সকল ধরনের নাগরিক ভোগান্তি হ্রাস করে বসবাসযোগ্য পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে অবহেলা-অব্যবস্থাপনা দূর করতে হবে।

মন্ত্রী বলেন, অনেক দিনের অবজ্ঞা, অবহেলা ও অব্যবস্থাপনার কারণে নাগরিক সেবা প্রদানকারী সংস্থার ওপর মানুষের আস্থা উঠে গেছে। এখন আর পেছনে ফিরে তাকানোর সময় নেই। নতুন উদ্যমে, সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনায় ও দুর্নীতিমুক্ত থেকে নাগরিকদের সেবা দিতে হবে। এর ব্যত্যয় ঘটলে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।

মন্ত্রী ঢাকা ওয়াসার কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা অতীতের ত্রুটি-বিচ্যুতির ব্যাপারে সতর্ক না হলে পরিণতি ভালো হবে না। আমরা অনেক দূরে যেতে চাই, আর অন্যায় সহ্য করা হবে না। আপনাদের যার যেখানে দুর্বলতা আছে তা এক্ষুনি শোধরান, তা না হলে পরিণতি খারাপ হবে। অব্যবস্থাপনার কারণে আমাদের অগ্রগতি অনেক বাধাগ্রস্ত হয়েছে, আর নয়।

ঢাকা মহানগরীর জলাবদ্ধতা দূরীকরণে পরিকল্পনা প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, ঢাকা মহানগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে করণীয় ঠিক করতে সংশ্লিষ্ট সংস্থাসমূহের সঙ্গে আমরা শিগগিরই বসব। আশা করি ঢাকাবাসী একটি কার্যকর সমাধান উপহার পাবে।

মতবিনিময় সভায় জানানো হয়, ঢাকা ওয়াসা ঢাকা মহানগর ও নারায়ণগঞ্জ শহরের ৪০০ বর্গকিলোমিটার এলাকায় ১ কোটি ৭০ লক্ষ নাগরিকের জন্য সুপেয় পানি সরবরাহ করছে। দৈনিক ২ শত ২০ কোটি লিটার পানির চাহিদার বিপরীতে বর্তমানে ২৪২ কোটি লিটার পানি উৎপাদন করছে। ঢাকা ওয়াসার সিস্টেম লস বর্তমানে শতকরা ২০ ভাগের নিচে নেমে এসেছে।

ভূ-উপরিভাগের পানির উৎস হতে পানি সরবরাহের লক্ষ্যে ৪৫ কোটি মার্কিন ডলার ব্যয়ে পদ্মা-যশোলদিয়া পানি শোধনাগার প্রকল্প, ৭০ কোটি মার্কিন ডলার ব্যয়ে গন্ধর্বপুর পানি শোধনাগার ও ৫ কোটি ৫ লক্ষ মার্কিন ডলার ব্যয়ে তেতুঁলঝরা-ভাকুর্তা ওয়েফিল্ড প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন রয়েছে বলে জানানো হয়।

সভায় ২০২৮ সালের মধ্যে ১৮৫ কোটি মার্কিন ডলার ব্যয়ে সায়েদাবাদ পানি শোধনাগার ফেজ-৩, পদ্মা-যশোলদিয়া পানি শোধনাগার ফেজ-২ ও গন্ধর্বপুর পানি শোধনাগার ফেজ-২ প্রকল্প গ্রহণ করা হবে বলে অবহিত করা হয়। পয়োবর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য পয়োনিষ্কাশন মাস্টার প্ল্যানের আওতায় দাশেরকান্দি, মিরপুর, উত্তরা, রায়ের বাজার, পূর্বাচল, পাগলা, নারায়ণগঞ্জ, কেরানীগঞ্জ, সাভার, টঙ্গী ও গাজীপুরে মোট ১১ টি পয়োনিষ্কাশন ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট স্থাপনে প্রকল্পের কাজ হাতে নেওয়া হয়েছে বলে অবহিত করা হয়।