বাবুল চিশতীসহ ৭ জনকে সম্পদ বিবরণীর নোটিশ

মাহবুবুল হক চিশতী (বাবুল চিশতী)। প্রথম আলো ফাইল ছবি
মাহবুবুল হক চিশতী (বাবুল চিশতী)। প্রথম আলো ফাইল ছবি

ফারমার্স ব্যাংকে জালিয়াতির ঘটনায় ব্যাংকটির নিরীক্ষা কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক চিশতী (বাবুল চিশতী), তাঁর স্ত্রী, ছেলে-মেয়ে-পুত্রবধূসহ ৭ জনকে সম্পদ বিবরণী জমা দেওয়ার নোটিশ দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ বৃহস্পতিবার এ নোটিশ দেওয়া হয়।

দুদক সূত্র জানায়, চিশতী ছাড়া যাঁদের নোটিশ দেওয়া হয়েছে তাঁরা হলেন স্ত্রী রোজী চিশতী, ছেলে রাশেদুল হক চিশতী, পুত্রবধূ ফারহানা আহমেদ ও মেয়ে রিমি চিশতী। বাকি দুজন হলেন মোহাম্মদ গোলাম রসুল ও মোস্তফা কামাল। কারাগারে থাকা বাবুল চিশতী ও রাশেদুল হক চিশতীর সম্পদ বিবরণীর নোটিশ ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জ্যেষ্ঠ জেল সুপারের মাধ্যমে পাঠানো হয়েছে। অন্যদের নোটিশ তাঁদের বাসার ঠিকানায় পাঠানো হয়েছে বলে দুদক জানিয়েছে।

ফারমার্স ব্যাংকে জালিয়াতির ঘটনায় মাহবুবুল হক চিশতী, তাঁর ছেলেসহ কয়েকজন ব্যাংকারকে আসামি করে এর আগে তিনটি মামলা হয়। ওই সব মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে পিতা-পুত্র দুজনই কারাগারে আছেন।

২০১২ সালে রাজনৈতিক বিবেচনায় অনুমোদন দেওয়া ফারমার্স ব্যাংক কার্যক্রম শুরুর পরই অনিয়মে জড়িয়ে পড়ে। আস্থার সংকট তৈরি হলে আমানতকারীদের অর্থ তোলার চাপ বাড়ে। পরিস্থিতির অবনতি হলে ব্যাংকটির চেয়ারম্যান পদ ছাড়তে বাধ্য হন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীর ও নিরীক্ষা কমিটির চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক চিশতী। পরিচালকের পদ থেকেও পদত্যাগ করেন তাঁরা।

জালিয়াতির ঘটনায় বাংলাদেশ ব্যাংকের বিশেষ তদন্তে ব্যাংকটির সাবেক দুই শীর্ষ ব্যক্তির অনিয়ম তুলে ধরা হয়। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ব্যাংকটির গ্রাহকের ঋণের ভাগ নিয়েছেন মহীউদ্দীন খান আলমগীর ও মাহবুবুল হক চিশতী। এর মাধ্যমে দুজনের নৈতিক স্খলন ঘটেছে এবং তাঁরা জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছেন। তবে মহীউদ্দীন খান আলমগীরকে এখন পর্যন্ত দুদকে তলব করা হয়নি, কিংবা তাঁর বিরুদ্ধে মামলা হয়নি।