ছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগে কারারক্ষীর বিরুদ্ধে মামলা

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে এক কারারক্ষীর বিরুদ্ধে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই শিক্ষার্থীর মা শনিবার বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে রূপগঞ্জ থানায় মামলা করেছেন। মামলায় কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারের কারারক্ষী ছাড়াও তাঁর দুই সহযোগীকে আসামি করা হয়েছে।

এ ছাড়া বন্দর উপজেলার সাবদি এলাকায় দ্বিতীয় শ্রেণির আরেকজন শিক্ষার্থী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এ ঘটনায় শিক্ষার্থীর মা বাদী হয়ে বন্দর থানায় মামলা করেছেন।

রূপগঞ্জ থানায় দায়ের করা মামলার বাদী প্রথম আলোকে জানান, শুক্রবার বিকেলে তিনি তাঁর মেয়েকে নিয়ে বাবার বাড়িতে ওয়াজ মাহফিলে আসেন। সন্ধ্যা সাতটায় বাড়ির পাশ থেকে কারারক্ষী মৃদুল তাঁর দুই বন্ধুর সহায়তায় তাঁকে মেয়েকে উঠিয়ে নিয়ে পাশের একটি জঙ্গলে নিয়ে ধর্ষণ করে ফেলে রেখে যান। সেখান থেকেই পরিবারের লোকজন মেয়েকে উদ্ধার করেন।

শনিবার থানায় মামলা হয়েছে। মামলার আসামিরা হলেন রূপগঞ্জের কায়েতপাড়া ইউনিয়নের ছাতিয়ান এলাকার লতিফ মিয়ার ছেলে কারারক্ষী মৃদুল হাসান, সোলায়মান মিয়ার ছেলে নিজাম মিয়া ও গোলবক্স মিয়ার ছেলে সিয়াম হোসেন। অভিযুক্ত কারারক্ষী ছুটি কাটাতে গ্রামের বাড়িতে ছিলেন।

রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল হক বলেন, শনিবার সকালে শিক্ষার্থীর মা বাদী হয়ে রূপগঞ্জ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছেন। মামলার পর সকালেই নারায়ণগঞ্জ ১০০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে শিক্ষার্থীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রূপগঞ্জ থানার এসআই ফরিদ উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, ধর্ষণের খবর ছড়িয়ে পড়লে রাতেই এলাকাবাসী অভিযুক্ত লোকজনকে আটক করতে ধাওয়া করেন। এলাকাবাসীর উপস্থিতি টের পেয়ে তাঁরা পালিয়ে যান। অভিযুক্ত লোকজনের মধ্যে একজন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের কারারক্ষী।

এ দিকে বুধবার রাত নয়টায় বন্দর উপজেলার সাবদি এলাকায় দ্বিতীয় শ্রেণির এক শিক্ষার্থী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এ ঘটনায় শুক্রবার সকালে শিক্ষার্থীর মা বাদী হয়ে বন্দর থানায় একটি মামলা করেছেন। শুক্রবার বিকেলে মামলার একমাত্র আসামি আবদুর রহমান বিশুকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

শিক্ষার্থীর মা প্রথম আলোকে জানান, তার মেয়ে পড়াশোনার পাশাপাশি পাশের একটি বাড়িতে গৃহকর্মীর কাজ করতো। বুধবার রাতে কাজ শেষ করে বাড়িতে আসার সময় সেই গৃহকর্তার গরুর খামারের কর্মচারী আবদুর রহমান তার মেয়েকে ধর্ষণ করেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বন্দর থানার এস আই হামিদুল ইসলাম প্রথম আলোকে জানান, ইতিমধ্যেই মামলার আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শনিবার সকালে নারায়ণগঞ্জ ১০০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে তার স্বাস্থ্য পরীক্ষাও সম্পন্ন হয়েছে।

নারায়ণগঞ্জ ১০০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান প্রথম আলোকে জানান, স্বাস্থ্য পরীক্ষায় প্রাথমিকভাবে মনে হয়েছে দুজন শিক্ষার্থীই ধর্ষণের শিকার হয়েছে।