বিরামপুরে তরুণী গণধর্ষণের মামলায় আরেক আসামি গ্রেপ্তার

দিনাজপুরের বিরামপুরে গণধর্ষণ মামলার আরেক আসামি দেলোয়ার হোসেনকে (৩২) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ নিয়ে এই মামলায় দুই আসামি গ্রেপ্তার হলেন।

আজ সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিরামপুর থানা-পুলিশ অভিযান চালিয়ে দেলোয়ারকে উপজেলার উত্তর কাটলা গ্রামের একটি বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে।

দেলোয়ারের বাড়ি উত্তর কাটলা গ্রামে। বাবার নাম সাঈদ আলী।

বিরামপুর থানা সূত্র জানায়, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) সোহেল রানা অভিযান চালিয়ে দেলোয়ারকে গ্রেপ্তার করেন। পুলিশ বলছে, দেলোয়ার ভারতে পালানোর চেষ্টা করছিলেন।

গ্রেপ্তারের পর দেলোয়ারকে বিরামপুর থানায় নেওয়া হয়। সেখানে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সোহেল রানার কক্ষে বসে দেলোয়ার স্বীকার করেন, তিনিসহ পাঁচজন এই গণধর্ষণের ঘটনায় জড়িত।

দেলোয়ারের ভাষ্য, তিনি বন্ধুদের ফাঁদে পড়ে এ কাজ করেছেন।

গত ১৮ জানুয়ারি সন্ধ্যায় বিরামপুরের কাটলায় এক তরুণী (২২) গণধর্ষণের শিকার হন। পরের দিন তরুণী বাদী হয়ে বিরামপুর থানায় পাঁচজনের নামে মামলা করেন।

মামলা করার সময় বিরামপুর থানায় বসে ভুক্তভোগী তরুণী প্রথম আলোকে বলেন, তিনি একটি পোশাক কারখানায় কাজ করেন। ঘটনার দিন বিকেলে তিনি নিজেদের বাড়ি থেকে হেঁটে পাশের গ্রামে নানা বাড়িতে যাচ্ছিলেন। পথে সন্ধ্যার দিকে পাঁচ ব্যক্তি তাঁকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করেন। একপর্যায়ে তিনি জ্ঞান হারান। রাতে জ্ঞান ফেরার পর দেখেন, তাঁর হাত বাঁধা। কোনো রকমে হাত খুলে নানির বাড়িতে যান তিনি।

তরুণী মামলা করার পর ফিরোজ হোসেন (২৬) নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সোহেল রানা বলেন, গ্রেপ্তার হওয়া ফিরোজ তিনিসহ পাঁচজন গণধর্ষণের ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন। পরে ফিরোজকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।

বিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জান প্রথম আলোকে বলেন, বাকি তিন আসামিকে ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। শিগগিরই তাঁদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হবে বলে আশাবাদী তিনি।