নিখোঁজের ১৪ ঘণ্টা পর স্কুলছাত্রের লাশ উদ্ধার, আটক ২

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

ফেনীতে এক স্কুলছাত্র নিখোঁজ হওয়ার ১৪ ঘণ্টা পর বাসার অদূরে মাটির নিচ থেকে তার লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ফেনী পৌরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের মোমিন জাহান মসজিদের পেছনে একটি পরিত্যক্ত স্থান থেকে আজ সোমবার সকালে ওই শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার করা হয়।

ফেনী শহরের ইমামবক্স সড়কের আড্ডা বাড়ির বাসার সামনে থেকে গতকাল রোববার রাত সাড়ে ৯টার দিকে ওই স্কুলছাত্র নিখোঁজ হয়। তার নাম আরাফাত হোসেন (১২)। সে ফেনীর পুলিশ লাইনস স্কুলের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র ছিল। তার বাবা জসিম উদ্দিন প্রবাসী। আরাফাত ছিল মা-বাবার একমাত্র ছেলে। তার ছোট একটি বোন আছে।


পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, গতকাল রোববার রাত সাড়ে ৯টার দিকে বাসা থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয় আরাফাত। পরে স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে জানা যায়, আরাফাতদের নির্মাণাধীন বাড়ির কাজের সঙ্গে যুক্ত সাব্বির নামের এক মিস্ত্রি তাকে ডেকে মোমিন জাহান মসজিদের পেছনে নিয়ে গেছেন। অনেক খোঁজাখুঁজির পরও ছেলেকে না পেয়ে আরাফাতের মা ফেনী সদর থানায় মৌখিক অভিযোগ করেন। পুলিশ রাতেই সাব্বিরকে খোঁজাখুঁজি শুরু করে। না পেয়ে তাঁর মা আউলিয়া বেগম (৪৫) ও ভাই মো. আজিজার হোসেনকে (২৬) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সোমবার সকালে স্থানীয় লোকজন মোমিন জাহান মসজিদের পেছনে মাটির নিচে পায়ের একটি অংশ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ আজ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ওই স্থান থেকে আরাফাতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ফেনী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। ময়নাতদন্ত শেষে সোমবার বিকেলে পারিবারিক কবরস্থানে লাশ দাফন করা হয়।

লাশ উত্তোলনের সময় ফেনীর পুলিশ সুপার এস এম জাহাঙ্গীর আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) উক্য সিংসহ জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। ফেনী শহর ফাঁড়ির পরিদর্শক সুজন হালদার প্রথম আলোকে জানান, ওই স্কুলছাত্রের মাথা থেঁতলানো ও বাম পা ভাঙা দেখা গেছে।

ফেনী হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) আবু তাহের প্রথম আলোকে বলেন, আরাফাতের শরীরের বিভিন্ন অংশে জখম ছাড়াও বুকে আঘাতের আলামত দেখা গেছে।

ফেনী সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নির্মাণশ্রমিক সাব্বিরের মা ও ভাইকে আটক করা হয়েছে। সাব্বির পলাতক। পুলিশ তাকে খুঁজছে। থানায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।