দলিল জালিয়াতি: শিক্ষক, পিয়ন, নকল নবিশসহ ৮জনের কারাদণ্ড

ফরিদপুরে জমির দলিল জাল করার মামলায় শিক্ষক, নকল নবিশ ও রেজিস্ট্রি অফিসের পিয়নসহ আটজনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে ফরিদপুর বিশেষ জজ আদালতের হাকিম মো. মতিয়ার রহমান এ রায় দেন ।

আদালত নগরকান্দা শ্রীরামদিয়া বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক গিয়াসউদ্দিন মোল্লাকে দুটি ভিন্ন ধারায় সশ্রম কারাদণ্ড ও সাত বছরের কারাদণ্ড দেন এবং ৫৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন।

নগরকান্দা সাব রেজিস্ট্রি অফিসের পিয়ন আবু বকর সিদ্দিকীকে দুই ধারায় ১০ ও ৫ বছরের বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন।

পাশাপাশি আদালত ওই সাবরেজিস্ট্রি অফিসের ছয় নকল নবিশ এসমেতারা বেগম, সুজিত কুমার বিশ্বাস, দেলোয়ার হোসেন, ঊষা বিশ্বাস, আনঞ্জু আক্তার ও মোহাম্মদ আলীকে ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ড এবং ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।

রায় ঘোষণার সময় গিয়াসউদ্দিন মোল্লা ও এসমেতারা বেগম ছাড়া অন্য ছয় আসামি আদালতে হাজির ছিলেন। এ মামলা চলাকালীন সময়ে গিয়াসউদ্দিন ও এসমেতারা গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। তবে পরে জামিন নিয়ে তারা পলাতক হন।

বিশেষ জজ আদালতের পিপি মজিবর রহমান জানান, নগরকান্দার পোড়াদিয়া গ্রামের শেখ আব্দুল মোতালেব ও তার দুই ভাই মুরাদ হোসেন ও ফরহাদ হোসেন ২০১২ সালের ৫ মার্চ ওই এলাকার বারেক মোল্লাসহ সাতজনের কাছ থেকে ৩৯ শতাংশ জমি কেনেন। ওই বছর ১১ মার্চ গিয়াসউদ্দিন মোল্লা ওই জমির মালিক দাবি করে ওই জমির দাতা ও গ্রহীতাদের বিরুদ্ধে নগরকান্দা থানায় ১৪৪ ধারায় একটি পিটিশন করেন। পরে তদন্ত করে দেখা যায় গিয়াসউদ্দিন জমির গ্রহীতা না হওয়া সত্ত্বেও নগরকান্দা রেজিস্ট্রি অফিসের কর্মচারী ও নকল নবিশদের সহায়তায় ওই দলিলের চার নম্বর গ্রহীতা হিসেবে নিজের নাম বসিয়ে এবং জমির অংশ কাটাকাটি করে নিজেই জমির মালিক হন।

এ ঘটনায় ২০১৩ সালের ২ মে শেখ আব্দুল মোতালেব বাদী হয়ে গিয়াসউদ্দিনসহ ১০জনকে আসামি করে একটি মামলা করেন। পরে মামলাটির তদন্ত করেন দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক এ এস এম সাজ্জাদ হোসেন। তদন্ত চলাকালে এ মামলার দুই আসামি মারা যান।

২০১৭ সালের ৮ জানুয়ারি দুদকের তদন্তকারী কর্মকর্তা গিয়াসউদ্দিনসহ আটজনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।