সবার জন্য সমান সুযোগ তৈরির মাধ্যমে ডাকসু নির্বাচন করতে চাই

মো. আখতারুজ্জামান
মো. আখতারুজ্জামান

নির্দিষ্ট গোষ্ঠীকে সুযোগ দেওয়া নয় বরং সবার জন্য সমান সুযোগ তৈরির মাধ্যমে ডাকসু নির্বাচন করতে চান বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান। আজ রাজধানীর তেজগাঁওয়ে বিএফডিসিতে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি আয়োজিত এক ছায়া সংসদ বিতর্ক প্রতিযোগিতায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

বিতর্ক প্রতিযোগিতার নাম ছিল ‘ইউসিবি পাবলিক পার্লামেন্ট’। প্রধান অতিথির বক্তব্যে মো. আখতারুজ্জামান বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ বা ডাকসুর নির্বাচনকে সুষ্ঠু করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আমাদের সদিচ্ছা রয়েছে, আসন্ন ডাকসু নির্বাচন সব মহলের কাছে গ্রহণযোগ্য করার। ডাকসুর যে গঠনতন্ত্র আছে, সেটি অনুমোদিত হয়েছে। কোড অব কন্ডাক্ট অনুমোদিত হয়েছে। আমরা এই দুটি দলিলকে সামনে রেখেই ডাকসু নির্বাচনের জন্য সব ব্যবস্থাপনার দিকে এগিয়ে যাব। কোনো নিদিষ্ট গোষ্ঠীকে সুযোগ প্রদান নয় বরং সবার জন্য সমান সুযোগ তৈরির মাধ্যমেই আমরা ডাকসু নির্বাচন সম্পন্ন করতে চাই।’

এই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আরও বলেন, ভবিষ্যতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা পদ্ধতির সংস্কারের চিন্তাভাবনা চলছে। ২০১৯-২০ সালে যারা ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেবে, তারা নতুন পদ্ধতিতেই পরীক্ষা দেবে।

উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান বলেন, ‘আমরা চাই শিক্ষার্থীরা কোচিং সেন্টারনির্ভর যাতে না হয়ে ওঠে। আত্মনির্ভরশীলতার মধ্য দিয়ে যাতে শিক্ষার্থীরা বেড়ে ওঠে, সেটাই আমাদের প্রত্যাশা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভিন্নমত ও বিভিন্ন মহলের মতাদর্শকে সম্মান দেয়। আমরা সেই আদর্শকে বাস্তবায়ন করতে চাই।’

সভাপতির বক্তব্যে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, আগামী ১১ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচিত প্রতিনিধিরা উচ্চশিক্ষায় ভর্তি পরীক্ষা পদ্ধতি নিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণে বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য কর্তৃপক্ষের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবে। তবে তার আগে ডাকসু নির্বাচন যাতে গ্রহণযোগ্য করা সম্ভব হয়, সে বিষয়ে সব ছাত্রসংগঠনের সমান সুযোগ দেওয়ার ব্যবস্থা নিতে হবে।

বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় ও ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির মধ্যে এ বির্তক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। বিজয়ী হয় ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি। এতে বিচারক ছিলেন অধ্যাপক আবু মোহাম্মদ রইস, সাংবাদিক মাঈনুল আলম, সাব্বির নেওয়াজ, মোস্তফা মল্লিক ও রোজিনা ইসলাম। প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ীদের ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট দেওয়া হয়।