মাকে হত্যায় ছেলের মৃত্যুদণ্ড

মাকে হত্যার দায়ে ছেলে রায়হান আলীকে (৩৫) ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডাদেশের রায় বহাল রেখেছেন বগুড়ার একটি আদালত। রোববার দুপুরে বগুড়া জেলা ও দায়রা জজ আদালত-৩–এর বিচারক মোহাম্মদ গোলাম ফারুক এ রায় ঘোষণা করেন।

এর আগে ২০১০ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি বগুড়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-৩ রায়হানের বিরুদ্ধে একই রায় দেন। এরপর দণ্ডিত আসামির পক্ষে হাইকোর্টে আপিল করা হয়। হাইকোর্ট ২০১৮ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি বগুড়ার একই আদালতকে নতুন করে বিচার করার নির্দেশ দেন। হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী নতুন করে বিচারিক কার্যক্রম শেষে আজ রায় ঘোষণা করেন বগুড়ার আদালত। রায় ঘোষণার সময় আসামি রায়হান কাঠগড়ায় ছিলেন।

রাষ্ট্রপক্ষে বগুড়া জেলা ও দায়রা জজ আদালত-৩–এর অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি কুমার দেব রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, আসামিপক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না। তাই রাষ্ট্রের পক্ষে আইনজীবী নিয়োগ দেওয়া হয়।

সংশ্লিষ্ট আদালত ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, বগুড়ার কাহালু উপজেলার বাথই কাজীপাড়ার আবদুর রহমানের ছেলে রায়হান আলী বিয়ে করে শ্বশুরবাড়িতে বসবাস করছিলেন। ২০০৯ সালের ২৭ জুলাই সকাল সাড়ে আটটার দিকে নিজ বাড়িতে এসে মা রওশন আরার কাছে বাড়ি করার জন্য জমি দাবি করেন। এ নিয়ে মা-বাবার সঙ্গে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে রায়হান ক্ষোভের বশে বাবাকে মারধর করেন। এ সময় মা রওশন আরা তাঁকে ঠেকাতে গেলে রায়হান ধারালো ছুরি দিয়ে তাঁর মায়ের বুকে ও পিঠে আঘাত করেন। এতে ঘটনাস্থলেই মা রওশন আরা মারা যান। এ সময় স্থানীয় লোকজন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে রায়হান পালিয়ে যান।

এ ঘটনায় বোন রাবেয়া বাদী হয়ে ভাই রায়হানকে একমাত্র আসামি করে কাহালু থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলার তদন্ত শেষে ২০০৯ সালের ২৮ আগস্ট কাহালু থানা-পুলিশ আসামি রায়হানের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে।