ডাকসু নির্বাচনের প্রচারণায় পোস্টার ব্যবহার নিষেধ

ডাকসু
ডাকসু

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদের আসন্ন নির্বাচনের প্রচারণায় কোনো ধরনের পোস্টার ব্যবহার করা যাবে না। প্রচারণায় লিফলেট বা হ্যান্ডবিল ব্যবহার করা যাবে। তবে সেগুলোয় শুধু সাদা-কালো ছবি ব্যবহার করা যাবে এবং কোনো ধরনের স্থাপনা, যানবাহন ও দেয়াল ইত্যাদিতে লেখন, লিফলেট বা হ্যান্ডবিল লাগানো যাবে না।

ডাকসু নির্বাচন পরিচালনায় নিযুক্ত প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক এস এম মাহফুজুর রহমান প্রথম আলোকে মঙ্গলবার রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, নির্বাচনের প্রচারণায় পোস্টার ব্যবহার করা যাবে না।

প্রসঙ্গত, গত ২৯ জানুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় চূড়ান্ত হওয়া আচরণবিধিতে লিফলেট বা হ্যান্ডবিলের বিষয়টি উল্লেখ থাকলেও পোস্টারের বিষয়ে কিছু বলা হয়নি।

অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান মঙ্গলবার রাতে প্রথম আলোকে বলেন, তফসিল ঘোষণা হয়ে গেছে। এখন ছাত্রসংগঠনগুলোর প্রচারণায় নামার ক্ষেত্রে কোনো ধরনের বাধা নেই, আচরণবিধি মেনে চাইলে আজই তাঁরা প্রচারণায় নামতে পারে। তবে প্রচারণার (সভা-সমাবেশ-শোভাযাত্রা) ২৪ ঘণ্টা আগে অনুমতি নিতে হবে।

গত ২৪ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ক্রিয়াশীল ছাত্রসংগঠনগুলোকে আচরণবিধির খসড়ার কপিসহ একটি করে চিঠি দিয়ে খসড়াটি সম্পর্কে ২৬ জানুয়ারির মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম গোলাম রব্বানীর কার্যালয়ে আচরণবিধির ব্যাপারে তাঁদের সুপারিশ বা মতামত জানাতে বলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ২৯ জানুয়ারির সিন্ডিকেট সভায় সেটি চূড়ান্ত হয়। বামপন্থী ছাত্রসংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে শ্রেণিকক্ষে নির্বাচনী প্রচারের সুযোগ রাখার দাবি থাকলেও তা না রেখেই আচরণবিধি অনুমোদন করে সিন্ডিকেট।

ডাকসু নির্বাচনের প্রচারণায় পোস্টার ব্যবহারের ওপর নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে ডাকসুর সাবেক সহসভাপতি (ভিপি) ও বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম প্রথম আলোকে বলেন, ‘পোস্টার ব্যবহারের ওপর নিষেধাজ্ঞার ফলে নির্বাচনে টাকার ছড়াছড়ি কিছুটা কমবে। তবে ক্লাস ক্যাম্পেইনের সুযোগ রাখা উচিত ছিল। আমাদের সময়ও সেই সুযোগটা ছিল।’

আচরণবিধিতে যা আছে:

১. লিফলেট বা হ্যান্ডবিলে শুধু সাদাকালো ছবি ব্যবহার করা যাবে।
২. আবাসিক হলগুলোতে সিসিটিভির ব্যবস্থা আছে,প্রয়োজনে হল প্রাধ্যক্ষ আরও সিসিটিভির ব্যবস্থা করবেন।
৩. নির্বাচনকালীন সময়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ ও মোবাইল নেটওয়ার্ক নিরবচ্ছিন্ন রাখা হবে।
৪. সকাল ১০টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত প্রচারণা চালানো যাবে।
৫. সভা-সমাবেশ ও অডিটোরিয়ামে মাইকের সাহায্যে প্রচারণা চালানো যাবে।
৬. কোনো প্রকার স্থাপনা,যানবাহন ও দেয়াল ইত্যাদিতে লেখন করা যাবে না বা লিফলেট-হ্যান্ডবিল লাগানো যাবে না।
৭. সভা-সমাবেশের ২৪ ঘণ্টা আগে অনুমতি নিতে হবে।
৮. ছাত্রসংগঠনগুলোর কোনো প্রার্থী ও নেতা-কর্মীদের হয়রানি করা যাবে না।
৯. ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলোতে সিসিটিভি বসানো আছে, প্রয়োজনে আরও বসানো হবে।
১০. রিটার্নিং অফিসার কর্তৃক অনুমোদিত ব্যক্তিরাই কেবল ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন।