এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে: জুনের আগেই প্রথম পর্যায়ের কাজ শেষ হবে, জানালেন ওবায়দুল কাদের

ওবায়দুল কাদের। ফাইল ছবি
ওবায়দুল কাদের। ফাইল ছবি

ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, প্রায় মৃত এই প্রকল্পটির অর্থায়ন নিয়ে এখন আর কোনো সমস্যা নেই। তিনি বলেছেন, এই প্রজেক্টটি মরেই গিয়েছিল, মৃত প্রজেক্টটি জীবিত করা হয়েছে। এই প্রজেক্ট দীর্ঘদিন ঝুলে ছিল, এখন গতি পেয়েছে।

আজ বুধবার দুপুরে বিমানবন্দরের কাওলায় প্রকল্পের শুরুর পয়েন্টে কাজের অগ্রগতি দেখতে গিয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।

সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, জুনের আগেই প্রথম পর্যায়ের কাজ শেষ হবে। দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ ২০২০ সালের জুলাই নাগাদ হয়ে যাবে। আর তৃতীয় পর্যায়ের কাজ ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে শেষ হবে। অর্থাৎ তিন ধাপের কাজ শেষ হবে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে। প্রথম ধাপের কাজ ৫০ ভাগ আর মোট কাজের অগ্রগতি ২০ ভাগ। তিনি বলেন, ‘দ্বিতীয় ফেইজের কাজ সম্পন্ন হলে অপারেশনটা আমরা করতে পারব। প্রথম ফেইজটা ফিজিবল হবে না। আগামী বছরের জুলাই নাগাদ দ্বিতীয় ফেইজের কাজ শেষ হলে অপারেশন শুরু হয়ে যাবে।’ প্রকল্প নির্ধারিত সময়ে শেষ করতে দ্রুতগতিতে কাজ চলছে এবং আগামী রোজার ঈদের আগেই মহাসড়কের সব ফ্লাইওভার ও সেতুর কাজ শেষ হবে বলেও জানান তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আগামী রমজানের ঈদের আগেই ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের তিনটি সেতু, দ্বিতীয় কাঁচপুর, দ্বিতীয় মেঘনা, দ্বিতীয় গোমতী সেতুর কাজ শেষ হবে। কাঁচপুর সেতুর কাজ ইতিমধ্যেই শেষ পর্যায়ে। মেঘনা, গোমতী সেতুর কাজ জুনের আগেই শেষ হবে। ঢাকা-টাঙ্গাইল-এলেঙ্গা মহাসড়কের কাজও ঈদের আগে শেষ হবে। সেখানে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় কোনাবাড়ীর ফ্লাইওভারের কাজ ৯৭ ভাগ শেষ হয়ে গেছে। এ ছাড়া চন্দ্রা ফ্লাইওভার, ঢাকা-টাঙ্গাইলের পথে পাঁচটি ফ্লাইওভার, তিনটি আন্ডার পাস, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে ভুলতা ফ্লাইওভারের কাজ জুনের আগেই সম্পন্ন হবে বলে জানান তিনি।

মন্ত্রী কাদের আরও বলেন, মাঝখানে অর্থায়নের সমস্যা ছিল। এখন এক্সিম ব্যাংক অব চায়না এই জানুয়ারি মাসে ৮৬১ মিলিয়ন ইউএস ডলার অনুমোদন করেছে। আইসিবিসি, তারা আরও ৪০০ মিলিয়ন ইউএস ডলার অনুমোদন করেছে। এখন আর অর্থায়নের কোনো সমস্যা নেই। মার্চ নাগাদ সব টাকা এসে যাবে।

এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প এলাকাকে তিন অংশে ভাগ করা হয়েছে। প্রথম অংশে বিমানবন্দর থেকে বনানী পর্যন্ত ৭ দশমিক ৪৫ কিলোমিটার, দ্বিতীয় অংশে বনানী থেকে মগবাজার পর্যন্ত ৫ দশমিক ৮৫ কিলোমিটার এবং তৃতীয় অংশে মগবাজার থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালী পর্যন্ত ৬ দশমিক ৪৩ কিলোমিটার। শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে কুড়িল, বনানী, মহাখালী, তেজগাঁও, মগবাজার, কমলাপুর, সায়েদাবাদ ও যাত্রাবাড়ী হয়ে ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালী পর্যন্ত ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ৮ হাজার ৯৪০ কোটি টাকা।