হাতি আতঙ্ক, দুই মাসে ক্ষতি ১০ লাখ টাকা

চট্টগ্রামের আনোয়ারা ও কর্ণফুলী উপজেলার কোরীয় রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলে নারকেলগাছ উপড়ে ফেলেছে বন্য হাতি। ছবি: প্রথম আলো
চট্টগ্রামের আনোয়ারা ও কর্ণফুলী উপজেলার কোরীয় রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলে নারকেলগাছ উপড়ে ফেলেছে বন্য হাতি। ছবি: প্রথম আলো

চট্টগ্রামের আনোয়ারা ও কর্ণফুলী উপজেলার কোরীয় রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলে (কেইপিজেড) বন্য হাতির আতঙ্ক রয়েছে। গত দুই মাসে পাহাড়ে অবস্থান নেওয়া দুটি হাতি বিভিন্ন গাছপালা ও স্থাপনা ভেঙে ফেলায় অন্তত ১০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানায় কেইপিজেড।

কেইপিজেড বলছে, দুই মাস ধরে দুটি হাতি দেয়াঙ পাহাড়ে অবস্থান নিয়েছে। হাতি দুটি সন্ধ্যা নামলেই সড়কে ও লোকালয়ে চলে আসে। এই কারণে কেইপিজেডের দায়িত্বরত শ্রমিক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও নিরাপত্তা প্রহরীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

সূত্র জানায়, বর্তমানে ২৩টি কারখানায় আনোয়ারা-কর্ণফুলী ও আশপাশের এলাকার প্রায় ২২ হাজার শ্রমিক কাজ করেন। তাঁদের মধ্যে আশপাশের অনেকে হেঁটে কারখানায় যান। শ্রমিকেরা হেঁটে যানবাহনে ওঠেন। কিন্তু দেয়াঙ পাহাড়ে দুটি হাতি অবস্থান নেওয়ায় শ্রমিক ও নিরাপত্তাকর্মীরা আতঙ্কে রয়েছেন।

গত ১৯ জানুয়ারি কর্ণফুলী উপজেলার শাহমীরপুর গ্রামে হাতির আক্রমণে রুনা আক্তার (২৬) ও তাঁর ছেলে মো. সাইমন (৫) আহত হয়। এর আগে গত বছরের ১৩ জুলাই আনোয়ারা উপজেলার বৈরাগ ইউনিয়নের মোহাম্মদপুর গ্রামের আবদুর রহমান (৭০) নামের একজনকে মেরে ফেলে হাতি।

কেইপিজেডের নিরাপত্তা প্রহরী নুরুল ইসলাম বলেন, ‘দেয়াঙ পাহাড় থেকে দুটি হাতি প্রতিদিন সড়কে আসছে। এ কারণে আমরা আতঙ্কে আছি।’

কেইপিজেডের প্রশাসন ও মানবসম্পদ উন্নয়ন বিভাগের সহকারী ব্যবস্থাপক মঈনুল আহসান বলেন, গত দুই মাসে হাতি কেইপিজেডের বনায়ন করা বড় বড় নারকেলগাছসহ বিভিন্ন ধরনের মূল্যবান গাছপালা ও বেশ কয়েকটি স্থাপনা ভেঙে ফেলায় অন্তত ১০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।

বন বিভাগের পটিয়া রেঞ্জের বন কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেন, হাতি দুটি সরিয়ে নেওয়ার জন্য বন্য প্রাণী বিভাগ কাজ করে যাচ্ছে।

কর্ণফুলী উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দ শামসুল তাবরিজ বলেন, হাতির ব্যাপারে বন বিভাগ ও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।