'আমার ডাকসু, আমাদের ডাকসু' স্লোগান নিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের জোট গঠন

গত দুই যুগে শিক্ষার্থীদের অধিকার সংরক্ষণে রাজনৈতিক ছাত্রসংগঠনগুলোকে ‘ব্যর্থ’ আখ্যা দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদের আসন্ন নির্বাচনে নির্দলীয় সাধারণ শিক্ষার্থীদের জন্য ‘স্বতন্ত্র জোট’ নিয়ে হাজির হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের একটি অংশ। ডাকসুকে ‘শুধুই শিক্ষার্থী অধিকার প্রতিষ্ঠার’ মঞ্চ হিসেবে দেখেন এই শিক্ষার্থীরা। তাঁদের স্লোগান ‘আমার ডাকসু, আমাদের ডাকসু’। অরাজনৈতিক শিক্ষার্থীদের নিয়ে ডাকসু নির্বাচনে পূর্ণাঙ্গ প্যানেল দিতে চান তাঁরা।

সোমবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) ক্যাফেটেরিয়ায় সংবাদ সম্মেলনের মধ্য দিয়ে এই জোটের যাত্রা শুরু হয়েছে। বিভিন্ন বিভাগ ও হলের যেসব সাধারণ শিক্ষার্থী ডাকসু নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার কথা ভাবছেন, তাঁদের নিজেদের প্যানেলে আসার আহ্বান জানিয়েছেন ‘স্বতন্ত্র জোটে’র উদ্যোক্তারা। অবশ্য বামপন্থী ছাত্রসংগঠনগুলোকে নিজেদের ‘সহযোদ্ধা’ আখ্যা দিয়ে তাঁরা বলেছেন, তাঁদের ব্যাপারে কোনো ক্রোধ বা বিদ্বেষ নেই।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান স্বতন্ত্র জোটের অন্যতম উদ্যোক্তা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের জিন প্রকৌশল ও জীবপ্রযুক্তি বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্রী অরণি সেমন্তি খান।

লিখিত বক্তব্যে অরণি বলেন, ‘আমরাই একমাত্র প্যানেল, যারা সাধারণ শিক্ষার্থীদের অধিকার বাস্তবায়নের জন্য লড়ছি। ডাকসুকে আমরা প্রগতিশীলতা বনাম রক্ষণশীলতার লড়াই হিসেবে দেখি না। বরং ছাত্রদের হাতে ক্ষমতা ফিরিয়ে দেওয়ার সুবর্ণ সুযোগ হিসেবে দেখি। আমাদের কোনো মুরব্বি নেই, কোনো রাজনৈতিক পিতৃসংগঠন নেই। তাই ছাত্ররাই আমাদের ভরসা।’

নিজেদের প্যানেল নির্বাচিত হলে ক্যাম্পাস এলাকায় ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যা সীমাবদ্ধ ও রিকশার পরিবর্তে পৃথক গণপরিবহনের ব্যবস্থা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন জোটের উদ্যোক্তারা। এ ছাড়া নির্বাচিত হওয়ার দুই মাসের মধ্যে ক্যাম্পাসের ভেতর দিয়ে মেট্রোরেলের রুট নিয়ে গণভোটের আয়োজন করবেন বলেও জানিয়েছেন তাঁরা।