প্রচারণা শেষ, কাল ভোট

রাজশাহী, সিলেট, খুলনা ও বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণা গতকাল বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে শেষ হয়েছে। ভোট গ্রহণ করা হবে আগামীকাল শনিবার। ইতিমধ্যে নির্বাচনের সব প্রস্তুতি শেষ করেছে নির্বাচন কমিশন।গতকাল প্রচারণার শেষ দিনে চার সিটি করপোরেশনের মেয়র ও কাউন্সিলর পদপ্রার্থীরা ব্যস্ত সময় কাটান। সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত তাঁরা নগরের অলিগলি চষে বেড়ান। তাঁদের পক্ষে নেতা-কর্মী-সমর্থকেরাও প্রচারণা চালান।রাজশাহীতে ১৩৭টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ১০৪টিকেই গুরুত্বপূর্ণ বলে চিহ্নিত করেছে মহানগর পুলিশ। এসব কেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ২৪ জন করে সদস্য মোতায়েন করা হবে। সাধারণ কেন্দ্রগুলোতে থাকবেন ২২ জন করে। নগরে ইতিমধ্যে বিজিবি সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে।বরিশালে ১০০টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ৬০টি অতি গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এখানে সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাড়ে চার হাজার পুলিশসহ নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবেন।সিলেটে ১২৭টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ৬২টি কেন্দ্রকে গুরুত্বপূর্ণ চিহ্নিত করেছে নির্বাচন কমিশন। খুলনায় মোট ২৮৮টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে ২০২টি কেন্দ্রকে।এদিকে নির্বাচন নিয়ে নানা শঙ্কার কথা প্রকাশ করছেন প্রার্থীরা। রাজশাহীতে প্রধান দুই মেয়র পদপ্রার্থী এবং একজন কাউন্সিলর পদপ্রার্থী নির্বাচনে সহিংসতার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। গোয়েন্দা সংস্থাগুলোও একই কথা জানিয়েছে নির্বাচন কমিশনকে। নগরের স্বল্প আয়ের মানুষ ও বস্তিবাসীর ভোট টাকার বিনিময়ে কেনার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিপুল টাকা ছড়ানোর পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করেছেন প্রধান দুই মেয়র পদপ্রার্থীর এজেন্টরা।খুলনায় দুই মেয়র পদপ্রার্থী নির্বাচন সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, অবাধ ও শান্তিপূর্ণ না হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। তাঁরা গতকাল পরস্পরের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ করেছেন। তাঁদের সমর্থকদের বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনেরও অভিযোগ রয়েছে। এ ছাড়া এখানকার প্রতিদ্বন্দ্বী তিন মেয়র প্রার্থীই কালোটাকা ছড়ানোর অভিযোগ করেছেন।

বরিশালে প্রচারণার শেষ দিনে তিন মেয়র পদপ্রার্থীর দুজনই সংবাদ সম্মেলন করে অভিযোগ ও পাল্টা অভিযোগ করেছেন। এ ছাড়া গত বুধবার রাতে পুলিশের গুলিতে বিএনপির কর্মী হারুন অর রশীদ গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় নির্বাচনী মাঠ উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে।

সিলেটে আওয়ামী লীগ-সমর্থিত মেয়র পদপ্রার্থী বিভিন্ন এলাকায় তাঁর পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা, মাইকিংয়েও বাধা দেওয়া এবং প্রচারকর্মীদের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ করেছেন। অন্যদিকে বিএনপি-সমর্থিত মেয়র পদপ্রার্থী বলেছেন, যেভাবে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা ঘুরে বেড়াচ্ছে, তাতে নির্বাচনে সেনা মোতায়েন জরুরি হয়ে পড়েছে।