অভিযানে গিয়ে হামলায় আহত ৬ পুলিশ, আসামি গুলিবিদ্ধ

শিশু
শিশু

জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার চাপারকোনা গ্রামে শিশু সিয়াম (৮) হত্যা মামলার প্রধান আসামি সোহানুর রহমান ওরফে সোহেল ও তাঁর মা সুফিয়া বেগমকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোহেলকে গ্রেপ্তার করতে গিয়ে পুলিশের ছয় সদস্য আহত হয়েছেন। পরে সোহেলকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় গ্রেপ্তার করা হয়।

চাঁপারকোনা গ্রামের মুনছুর আলীর সঙ্গে তাঁর চাচাতো ভাই সোহেলের পারিবারিক বিরোধ চলে আসছিল। এই বিরোধের জেরে গত সোমবার সোহেল শিশু সিয়ামকে (৮) হত্যা করেন। রাতেই সিয়ামের পিতা মুনছুর আলী সরিষাবাড়ী থানায় হত্যা মামলা করেন।


পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল ভোরে সরিষাবাড়ী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জোয়াহের হোসেন খান একদল পুলিশ নিয়ে ডোয়াইল ইউনিয়নের জিরোপয়েন্ট এলাকায় অভিযান চালান। এ সময় আসামি সোহেল পুলিশ দেখে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। পুলিশ তাঁকে দৌড়ে আটকের চেষ্টা করলে সোহেল ধারালো অস্ত্র দিয়ে পুলিশের ওপর এলোপাতাড়ি আঘাত করেন। এতে পরিদর্শক জোয়াহের হোসেন খান, উপপরিদর্শক (এসআই) ইমান আলী, আশরাফুল, আরিফুল ইসলাম, সহকারী উপপরিদর্শক এনামুল হক সিদ্দিকী ও কনস্টেবল ফরহাদুল ইসলাম গুরুতর আহত হন। পুলিশ এ সময় জীবন বাঁচাতে শটগান দিয়ে সাতটি গুলি করে। এতে সোহেল হাতে ও পায়ে গুলিবিদ্ধ হন। আহতদের ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

সরিষাবাড়ী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জোয়াহের হোসেন খান বলেন, ‘সোহেলকে গ্রেপ্তার করতে গেলে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করে আমাদের আহত করে। আমরা বাঁচার জন্য শটগান থেকে গুলি করি। সোহেল পায়ে ও হাতে গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে পড়ে গেলে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।’

সরিষাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজেদুর রহমান বলেন, প্রধান আসামি সোহানুর রহমান ও তাঁর মা সুফিয়া বেগমকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ আহতের ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।