সেন্ট মার্টিনে এখনো আটকা ১ হাজার ১৯৩ পর্যটক

দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে বঙ্গোপসাগর ও নাফ নদী উত্তাল থাকায় গতকাল বুধবার টেকনাফ-সেন্ট মার্টিন নৌপথে জাহাজ চলাচল করেনি। এ কারণে সেন্ট মার্টিনে এখনো আটকে রয়েছেন ১ হাজার ১৯৩ জনের মতো পর্যটক। তাঁরা সেখানে দ্বীপের ১০৬টি হোটেল–কটেজে অবস্থান করছেন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে জাহাজ চলাচল আজ বৃহস্পতিবারও বন্ধ থাকতে পারে।
সেন্ট মার্টিন ইউপি চেয়ারম্যান নুর আহমেদ বলেন, গত মঙ্গলবার সকালে টেকনাফ থেকে ছয়টি জাহাজে সেন্ট মার্টিন গেছেন ৩ হাজার ৮৭৩ জন পর্যটক। এর মধ্যে ওই দিন বিকেলে জাহাজে করে সেন্ট মার্টিন থেকে পুনরায় টেকনাফ ফিরে আসেন ১ হাজার ৮৮০ জন। অবশিষ্ট ২ হাজার পর্যটক দ্বীপে থেকে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে গতকাল সকালে কয়েকটি স্পিডবোট ও কাঠের ট্রলারে করে টেকনাফ ফিরে আসেন প্রায় ৮০০ জন। অবশিষ্ট ১ হাজার ১৯৩ জন সেখানে আটকে পড়েছেন জাহাজ চলাচল বন্ধ থাকার কারণে।
কক্সবাজার আবহাওয়া কার্যালয়ের আবহাওয়াবিদ মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, বঙ্গোপসাগরে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত চলছে। এ কারণে সাগর ও নাফ নদী উত্তাল আছে। মাছ ধরার ট্রলারসহ সব ধরনের নৌযানকে নিরাপদ স্থানে থাকতে বলা হয়েছে।
সেন্ট মার্টিন পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক সেকান্দর আলী বলেন, আটকে পড়া পর্যটকেরা দ্বীপের ১০৬টি হোটেল-মোটেল ও কটেজে অবস্থান করছেন। সাগর উত্তাল থাকলে জাহাজ চলাচল বৃহস্পতিবারও বন্ধ থাকবে। তখন তাঁদের সেন্ট মার্টিনে থেকে যেতে হবে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) টেকনাফ অঞ্চলের পরিদর্শক (পরিবহন) মোহাম্মদ হোসেন বলেন, এক দিন বন্ধ রাখার পর পুনরায় টেকনাফ-সেন্ট মার্টিন নৌপথে জাহাজ চলাচল শুরু হয়েছিল। সাগর উত্তাল হওয়ায় মঙ্গলবার থেকে পুনরায় জাহাজ চলাচল বন্ধ করা হয়।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রবিউল হাসান বলেন, আবহাওয়া পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করছে জাহাজ চলাচল কখন শুরু হবে। উত্তাল সাগরে কাউকে ঝুঁকিতে ঠেলে দেওয়া ঠিক হবে না।