'আর রোহিঙ্গা নেওয়া সম্ভব নয়'

ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

বাংলাদেশের পক্ষে আর রোহিঙ্গা শরণার্থী গ্রহণ করা সম্ভব নয়। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে বৃহস্পতিবার এ কথা জানিয়ে দিয়েছেন পররাষ্ট্রসচিব শহীদুল হক।

পররাষ্ট্রসচিব বলেন, ‘দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি যে, বাংলাদেশের পক্ষে মিয়ানমারের আরও রোহিঙ্গা আশ্রয় দেওয়া সম্ভব নয়।’ তিনি বলেন, ইতিমধ্যে বাংলাদেশে আসা রোহিঙ্গাদের একজনও স্বেচ্ছায় রাখাইনে ফিরতে রাজি হচ্ছে না। কারণ রাখাইনে সেই পরিবেশ সৃষ্টি করা হয়নি।

শহীদুল হক প্রশ্ন তোলেন, তাহলে প্রতিবেশী দেশের এই রোহিঙ্গাদের প্রতি সহানুভূতি দেখিয়ে এখন কি বাংলাদেশকে তার মূল্য দিতে হচ্ছে?

নিরাপত্তা পরিষদে মিয়ানমারের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন জাতিসংঘে নিযুক্ত দেশটির রাষ্ট্রদূত হায়ু দো সোয়ান। তিনি রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের ক্ষেত্রে সব পক্ষকে ধৈর্য ধরার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের ফেরানোর ক্ষেত্রে ‘বড় ধরনের বাস্তবিক ও মানসিক বাধা’ রয়েছে। সময় নিয়ে ধৈর্য ধরে সাহসের সঙ্গে রাখাইনে আস্থার পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। রাখাইনে বসবাসরত সব সম্প্রদায়ের মধ্যে আস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে।

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে ২০১৬ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে দেশটির সামরিক অভিযানের মুখে সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। এর আগেও বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশে এসেছে রোহিঙ্গারা। সব মিলিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গার সংখ্যা ১১ লাখ ছাড়িয়েছে।

রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় চাপ সৃষ্টি করলেও মিয়ানমারের টালবাহানায় সেটা সম্ভব হচ্ছে না। একপর্যায়ে মিয়ানমার প্রতি সপ্তাহে ১৫০০ জন করে এবং দুই বছরের মধ্যে সব রোহিঙ্গাকে ফিরিয়ে নিতে রাজি হলেও সেই অঙ্গীকার পালন করছে না। সূত্র: গার্ডিয়ান ও বিবিসি।