নালার মাটি সড়কে, জনদুর্ভোগ

পানিনিষ্কাশনের জন্য নালা নির্মাণ করা হচ্ছে। মাটি সরানো হয়নি। দেওয়া হয়নি নিরাপত্তাবেষ্টনী। এতে লোকজন দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। গত শুক্রবার শেরপুর পৌর শহরের ঘোষপাড়া এলাকায়।
পানিনিষ্কাশনের জন্য নালা নির্মাণ করা হচ্ছে। মাটি সরানো হয়নি। দেওয়া হয়নি নিরাপত্তাবেষ্টনী। এতে লোকজন দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। গত শুক্রবার শেরপুর পৌর শহরের ঘোষপাড়া এলাকায়।

বগুড়ার শেরপুর পৌর শহরের কলাপট্টি ও ঘোষপাড়া মহল্লায় প্রায় তিন মাস ধরে চলছে সড়কের পাশে নালা নির্মাণের কাজ। গর্ত খুঁড়ে মাটি ফেলা হচ্ছে সড়কের ওপর। তা ছাড়া নালার গর্তের কাছে কোনো নিরাপত্তাবেষ্টনী নেই। এমনকি নেই সতর্কতামূলক সাইনবোর্ড। গভীর নালায় পড়ে যাওয়ার ঝুঁকি নিয়ে লোকজনকে প্রতিদিন যাতায়াত করতে হচ্ছে।

ওই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন যাতায়াতকারী অন্তত ১০ জন প্রথম আলোকে বলেছেন, গর্ত খুঁড়ে মাটি ফেলা হচ্ছে সড়কের ওপর। বৃষ্টির পানিতে ওই মাটি পিচ্ছিল হয়ে পড়ে। তখন পা টিপে টিপে চলতে হয়। তা ছাড়া নালার কাছে কোনো বেড়া দেওয়া হয়নি। তাঁদের যাতায়াতে সমস্যা হচ্ছে। একটু অসতর্ক হলে গভীর গর্তে পড়ে যেতে হবে। বিশেষ করে শিশুদের বিদ্যালয়ে যাতায়াত নিয়ে তাঁদের দুশ্চিন্তা অনেক।

শেরপুর পৌরসভার প্রকৌশল বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী হুমায়ুন কবির গত শুক্রবার বলেন, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে এই নির্মাণকাজ বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে শুরু করা হয়েছে। আগামী ১৫ এপ্রিলের মধ্যে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে এই কাজ শেষ করতে হবে। এই ঢালাই নালাটির নির্মাণকাজ চলবে ঘোষপাড়ার পূর্ব পাশে করতোয়া নদী পর্যন্ত। মোট দৈর্ঘ্য ১ হাজার ১১০ মিটার। এর ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় পৌনে দুই কোটি টাকা।

 হুমায়ুন কবির আরও বলেন, এমটিই ও এমআরএম ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এ কাজ পেয়েছে। কাজ শুরুর সময় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে সড়কের পাশে সতর্কতামূলক সাইনবোর্ড টাঙানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল।

সড়কের পাশে গর্ত খুঁড়ে মাটি সড়কের মাঝখানে ফেলে রাখা হয়েছে। পাশেই গভীর গর্তে ঢালাই নালা নির্মাণে রড খাড়া করে রাখা রয়েছে। ঝুঁকি নিয়ে লোকজন মানুষজনকে যাতায়াত করতে হচ্ছে। দুটি সড়কের কোথাও কোনো ধরনের সতর্কতামূলক সাইনবোর্ড নেই। নির্মাণকাজের সংশ্লিষ্ট দেখভালকারীরও দেখা মেলেনি।

পথচারী সাইফুল ইসলাম বলেন, ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কের শেরপুর কলেজ রোড থেকে বিভিন্ন ধরনের যানবাহন ওই সড়ক দুটি হয়ে উপজেলার খামারকান্দি ও গাড়িদহ ইউনিয়ন এলাকায় চলাচল করে। সবজিবাহী ট্রাকসহ বড় বড় যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে হালকা যানবাহন এগলি–ওগলি ঘুরে চলাচল করছে। এ ছাড়া ওই দুটি ইউনিয়নের উৎপাদিত উপজেলার বৃহৎ সবজির বাজার বসে গাড়িদহের ফুলবাড়ী বাজারে। এই বাজার থেকে কেনা সবজি ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হয়। এ ছাড়া এই সবজি স্থানীয় বাজারগুলোতেও বিক্রি করার জন্য ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা নিয়ে যান।

বৈকাল বাজারসহ কলেজ রোড, সকাল বাজার, রেজিস্ট্রির বাজারের ১৫ জন সবজি বিক্রেতা বলেন, নালা নির্মাণ নিয়ে যাতায়াতে সমস্যার কারণে সরাসরি বাজারে সবজি তুলতে বাড়তি টাকা ব্যয় করতে হচ্ছে।

পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম বলেন, এই কাজ দেখভালে নিয়োজিত প্রকৌশলী রয়েছেন। পাশাপাশি তাঁরাও দেখভাল করে থাকেন। সড়কে বিশেষ সতর্কতাসংবলিত সাইনবোর্ড স্থাপনের উদ্যোগ নেবেন। এ ছাড়া স্থানীয় বাসিন্দাসহ পথচারীদের সড়কে যাতায়াতে ঝুঁকিরোধে উদ্যোগ নেবেন।