আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী খালেদা জিয়ার চিকিৎসা চলবে

প্রথম আলো ফাইল ছবি
প্রথম আলো ফাইল ছবি

বিএনপির কারাবন্দী চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে উচ্চ আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী চিকিৎসাসেবা প্রদানের আদেশ দিয়েছেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯-এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান। আজ সোমবার তিনি এ আদেশ দেন। একই সঙ্গে কারাবিধি অনুযায়ী কর্তৃপক্ষকে খালেদা জিয়ার চিকিৎসার বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে আদেশ দেন তিনি।

এ বিষয়ে খালেদা জিয়ার আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার প্রথম আলোকে বলেন, ‘বিচারিক আদালত উচ্চ আদালতের কাঁধে বন্দুক রেখে আদেশ দিয়েছেন। এ আদেশ অনেকটা ধরি মাছ, না ছুঁই পানির মতো। আদালতের আদেশ পর্যালোচনা করে দেখার পর তা গ্রহণ করব, না উচ্চ আদালতে যাব, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী মোশাররফ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, খালেদা জিয়া অসুস্থ। কারাবিধি অনুযায়ী তাঁর চিকিৎসা চলবে। এর মধ্যে মেডিকেল বোর্ড গঠন হয়েছে। তাঁরা খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেছেন। সেই বোর্ড যেভাবে মতামত দেবে, সেই অনুযায়ী চিকিৎসা চলবে। দণ্ডিত আসামির ক্ষেত্রে কারাবিধি অনুযায়ী ব্যক্তিগতভাবে চিকিৎসা করানোর সুযোগ নেই।

আদেশে বলা হয়েছে, গত বছরের ৪ অক্টোবর খালেদা জিয়ার চিকিৎসার বিষয়ে এক আদেশ দেন। ওই আদেশের আলোকে ইতিমধ্যে মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। বোর্ডের সদস্যরা উচ্চ আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী মনোনীত হয়েছেন। খালেদা জিয়া কী অবস্থায় এবং কোন কোন ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত চিকিৎসা পেতে পারেন, তাও উচ্চ আদালত কর্তৃক সিদ্ধান্ত প্রদান করা হয়েছে। যেহেতু মেডিকেল বোর্ড কর্তৃক আসামির চিকিৎসা প্রদানের বিষয়টি চলমান আছে, সেহেতু উচ্চ আদালতের নির্দেশনার বাইরে আসামির দরখাস্তের পরিপ্রেক্ষিতে বা তাঁর ব্যক্তিগত চিকিৎসক দ্বারা চিকিৎসা করানোর নির্দেশনা প্রদানের কোনো সুযোগ বা এখতিয়ার আদালতের নেই। এ অবস্থায় খালেদার দাখিল করা আবেদন আদালতে বিবেচনা করার সুযোগ নেই। সংগত কারণে আসামি খালেদা জিয়ার পক্ষে তাঁর চিকিৎসা সংক্রান্ত দুইটি আবেদন নথিভুক্ত করা হোক। তবে আসামিকে উচ্চ আদালতের রিট পিটিশন ১১৪৯৬/২০১৮ মামলার ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর তারিখের রায়ের নির্দেশ মতে এবং জেল কোড অনুযায়ী প্রয়োজনীয় চিকিৎসা প্রদান করা বা অব্যাহত রাখার জন্য জেল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ প্রদান করা হচ্ছে।

নাইকো দুর্নীতি মামলায় গত ১২ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা খালেদা জিয়া প্রচণ্ড অসুস্থ উল্লেখ করে তাঁর ব্যক্তিগত চিকিৎসক দ্বারা নতুন করে চিকিৎসার আবেদন করেন। 

জিয়া চ্যারিটেবল ও জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে খালেদা জিয়া কারাগারে বন্দী আছেন।