ভারতীয় শিক্ষাবৃত্তি পেলেন ২ হাজার ২০০ শিক্ষার্থী

মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ভারত সরকার প্রতিবছর মুক্তিযোদ্ধাদের উত্তরাধিকারীদের শিক্ষাবৃত্তি দিচ্ছে। এ বছর ২ হাজার ২০০ শিক্ষার্থী বৃত্তির জন্য নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁদের নিয়ে মঙ্গলবার ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনের চ্যান্সারি কমপ্লেক্সে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

এতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান প্রধান অতিথি ও ভারতীয় সেনাবাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডের ভারপ্রাপ্ত জিওসি লেফটেন্যান্ট জেনারেল এম এম নারাবানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনের এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

ভারত সরকার ২০০৬ সালে মুক্তিযোদ্ধাদের উত্তরাধিকারীদের জন্য ‘মুক্তিযোদ্ধা বৃত্তি প্রকল্প’ চালু করে। এখন দুটি প্রকল্প একসঙ্গে বাস্তবায়িত হচ্ছে।

উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের এককালীন ২০ হাজার টাকা এবং স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের এককালীন ৫০ হাজার টাকা করে বৃত্তি দেওয়া হয়। এ পর্যন্ত ১২ হাজার ৯৫৭ জন শিক্ষার্থীকে ২৩ কোটি ৬৬ লাখ টাকা শিক্ষা বৃত্তি দিয়েছে ভারত সরকার। পুরোনো প্রকল্পের অধীনে, উচ্চমাধ্যমিক ও স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দেওয়া হয়। এই প্রকল্পের আওতায় এ পর্যন্ত ১১ হাজার ৩৩৬ জন শিক্ষার্থী উপকৃত হয়েছেন আর এ জন্য খরচ হয়েছে ১৭ কোটি ৪২ লাখ টাকা।

২০১৭ সালের এপ্রিলে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরের সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ‘নতুন ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী মুক্তিযোদ্ধা সন্তান বৃত্তি প্রকল্প’ ঘোষণা করেন। নতুন বৃত্তি প্রকল্পের অধীন পরবর্তী পাঁচ বছরে ১০ হাজার মুক্তিযোদ্ধার উত্তরাধিকারীকে ৩৫ কোটি টাকার শিক্ষাবৃত্তি দেওয়া হবে। প্রতিবছর উচ্চমাধ্যমিক ও স্নাতক পর্যায়ে এক হাজার করে মোট দুই হাজার শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দেওয়া হয়।