রাস্তা ছোট, ভোগান্তি বড়

আরডিএ মার্কেটের পেছনের সড়কটিতে বৃষ্টি এলেই পথচারীদের পোহাতে হয় দুর্ভোগ।  প্রথম আলো
আরডিএ মার্কেটের পেছনের সড়কটিতে বৃষ্টি এলেই পথচারীদের পোহাতে হয় দুর্ভোগ। প্রথম আলো
>

• নগরের আরডিএ মার্কেটের পূর্ব-দক্ষিণ-পশ্চিম পাশ দিয়ে গেছে সড়ক
• এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন বাজারে, মসজিদে যেতে হয়
• এই রাস্তা ধরেই যেতে হয় কলেজে

রাজশাহী নগরের ছোট একটি সড়ক। দৈর্ঘ্য ৫০০ মিটারের বেশি হবে না। তবে এই সড়কে প্রতিদিন অনেক বড় সড়কের চেয়েও বেশি মানুষ চলাচল করে। কাঁচাবাজার থেকে শুরু করে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রী কিনতে নগরবাসীকে প্রতিদিন এই সড়কে নামতেই হয়। আর সড়কটির দশা এত বেহাল যে একটুখানি বৃষ্টি হলেই কাদায় এখানে পা রাখা যায় না। নগরের আরডিএ মার্কেটের পূর্ব-দক্ষিণ-পশ্চিম পাশ দিয়ে গেছে এ সড়ক।

স্থানীয় লোকজন মনেই করতে পারেন না সড়কটি সর্বশেষ কবে সংস্কার করা হয়েছিল। রাজশাহী নগরের ব্যস্ততম আরডিএ মার্কেটের তিন দিক ঘিরে আছে এ সড়ক। তা ছাড়া, এখানে মাছ-মাংসসহ কাঁচা তরিতরকারির বাজারও বসে। তাই সড়কটি সব সময়ই মানুষের চলাচলে মুখর থাকে।

এলাকায় দীর্ঘ ১২ বছর ধরে বসবাস করেন মেহেদী হাসান। তিনি একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করেন। রাস্তার পাশের একটি বাড়িতে সপরিবার বসবাস করেন। সম্প্রতি বৃষ্টির পর এক সকালে পরিবারের জন্য বাজার করতে এসেছিলেন তিনি। এ সময় কথা হলে তিনি জানান, দীর্ঘদিন ধরে তিনি এ রাস্তায় চলাচল করেন। সামান্য বৃষ্টি হলেই তিন-চার দিন কাদাপানি জমে থাকে। বাজারে যাওয়া যায় না। জামা–কাপড়ে কাদা লেগে যায়। বাজার থেকে বাসায় ফিরেই গোসল করতে হয়।

রাজশাহী কলেজের গণিত বিভাগের শেষ বর্ষের ছাত্র তানজিম বলেন, এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন বাজারের মসজিদে নামাজ পড়তে যেতে হয়। এই রাস্তা ধরেই কলেজে যেতে হয়। বর্ষার সময় শরীরে, পোশাকে কাদা না লাগিয়ে ঘরে ফেরা যায় না।

এই রাস্তার পশ্চিম পাশে মুরগির দোকান রয়েছে। দেখা গেল একজন ক্রেতা কাদা দেখে মোটরসাইকেলের ওপর থেকেই মুরগি কেনার চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু ভারসাম্য রক্ষা করতে না পেলে তাঁর এক পা মোটরসাইকেল থেকে সরে কাদাপানিতে ডুবে গেল। এতে তাঁর ভোগান্তি তৈরি হওয়ার পাশাপাশি কাদা তাঁর কাপড়চোপড়ও নষ্ট হয়। এক দিন বৃষ্টি হলে তার পরের বেশ কয়েক দিন এই রাস্তায় এ রকম দৃশ্য চোখে পড়বেই। এই রাস্তার পাশেই দোকানিরা মাছ ও কাঁচা তরিতরকারির বাজার নিয়ে বসেন। তাঁরাও এই কাদাপানি মেখেই বসে থাকেন।

সড়কটি সংস্কারের ব্যাপারে জানতে চাইলে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী আশরাফুল হক গতকাল শুক্রবার প্রথম আলোকে বলেন, এই রাস্তাটিতে বৃষ্টির দিনে মানুষের দুর্ভোগ হয়, এটা ঠিক। শিগগিরই সড়কটি সংস্কারের জন্য কার্যাদেশ দেওয়া হবে।