অসুস্থ মাকসুদার চিকিৎসার দায়িত্ব নিল ছাত্রলীগ

মাকসুদা বেগমের পাশে ছাত্রলীগের নেতারা। ছবি: প্রথম আলো
মাকসুদা বেগমের পাশে ছাত্রলীগের নেতারা। ছবি: প্রথম আলো

ফরিদপুরের মাকসুদা বেগম ওরফে ছোট কুনি (৫২) নামের এক গৃহবধূ জরায়ুর রোগে আক্রান্ত হন। কিন্তু পরিবারের সচ্ছলতা না থাকায় তাঁর চিকিৎসা হচ্ছিল না। বিষয়টি জানার পর অসহায় ওই নারীর চিকিৎসার ভার নেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা। গতকাল রোববার ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অস্ত্রোপচার করা হয় মাকসুদার।

মাকসুদা ফরিদপুর সদরের মাচ্চর ইউনিযনের পরানপুর গ্রামের আমির মোল্লার স্ত্রী। আমির মোল্লা একজন গাছি। তবে কয়েক বছর আগে গাছ থেকে পড়ে আহত হয়ে তিনি শয্যাশায়ী। বর্তমানে তাঁর শরীরের এক অংশ অবশ হয়ে গেছে। এই দম্পতির একমাত্র সন্তান মোস্তাক মোল্লা রাজমিস্ত্রির জোগালদার হিসেবে কাজ করেন। দিনশেষে তিনি যা পান, তাতেই কোনো রকমে চলে অসহায় এই পরিবারটির সংসার।

মাকসুদার পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, প্রায় তিন বছর ধরে মাকসুদা জরায়ুর সমস্যায় ভুগছিলেন। চার মাস আগে তিনি ফরিদপুর মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। চিকিৎসকেরা জানিয়েছিলেন, তাঁর জরায়ুতে জেনিটোওনারি প্রলেপস হয়েছে। এর জন্য দ্রুত অস্ত্রোপচার করা না হলে ক্যানসার হতে পারে। কিন্তু আর্থিক সমস্যার কারণে মাকসুদা তখন অস্ত্রোপচার করাতে পারেননি।

এ খবরটি মাচ্চর ইউনিয়নের বাসিন্দা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি শেখ স্বাধীন মো. শাহেদের মাধ্যমে জানতে পারেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী।

গোলাম রাব্বানী ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে মাকসুদার চিকিৎসার যাবতীয় খরচের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এ কাজে তত্ত্বাবধানের দায়িত্ব দেন শেখ স্বাধীন মো. শাহেদকে। শেখ স্বাধীন মো. শাহেদ জানান, তাঁকে এ কাজে সাহায্য করেছে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ শাখা ছাত্রলীগের নেতা–কর্মীরা।
গতকাল শুক্রবার দুপুরে মাকসুদার শরীরে অস্ত্রোপচার করেন ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের গাইনি ও অবস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ফাহমিদা জেসমিন। বেলা একটার দিকে অস্ত্রোপচার শুরু করে শেষ হয় বেলা আড়াইটার দিকে।

হাসপাতালের শিক্ষানবিশ চিকিৎসক মেডিকেল কলেজ শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম বলেন, মাকসুদার শরীরে সফল অস্ত্রোপচার করা সম্ভব হয়েছে। ক্যানসার বাসা বাঁধার আগে এ অস্ত্রোপচার মাকসুদার জন্য শুভবার্তা নিয়ে আসবে। তিনি বলেন, মাকসুদা সাত দিনের মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি চলে যেতে পারবেন।