চট্টগ্রামে রেলওয়ে ওয়ার্কশপে আগুন, ১৮ কর্মচারী অসুস্থ

নগরের পাহাড়তলী রেলওয়ে কারখানায় আগুন লেগে ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে ১৮ শ্রমিক অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। এর মধ্যে ৭ জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আজ বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কারখানায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।

আগুন লাগার পরপর রেলওয়ের কর্মচারীরা নিজেরাই অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র এবং বালু দিয়ে আগুন নিভিয়ে ফেলেন। তবে আগুন নেভানোর পর ১৮ জন কর্মচারী অসুস্থ হয়ে পড়েন। ধোঁয়া এবং অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্রের পাউডারের কারণে এই সমস্যা হয় বলে জানা গেছে।

অসুস্থ ১৮ জনের মধ্যে ৭ জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁরা হলেন মো. ইব্রাহিম (২৭), রায়াহান (২৫), মো. সাইফুল (২৬), জামাল (৩২), মো. হারুন (৩০), মাহবুব আলম (৩২) ও কবির (২৩)। অসুস্থ ব্যক্তিরা সবাই রেলওয়ে ওয়ার্কশপের কর্মচারী।

চমেক হাসপাতালের সহকারী উপপরিদর্শক আলাউদ্দিন তালুকদার বলেন, বেলা ১১টার দিকে আহত কর্মচারীদের চমেক হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তাঁদের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। 

চিকিৎসকেরা জানান, অসুস্থ ব্যক্তিরা সবাই শ্বাসপ্রশ্বাসজনিত সমস্যায় ভুগছেন। ধোঁয়া এবং অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্রের পাউডারের কারণে এই ধরনের সমস্যা হয়।
চমেক বার্ন ইউনিটের সহকারী অধ্যাপক এস খালেদ বলেন, কারও শরীর পুড়ে যায়নি। তবে শ্বাসজনিত সমস্যা রয়েছে। তাঁদের অক্সিজেন দিয়ে রাখা হয়েছে। তবে তাঁরা শঙ্কামুক্ত বলা যায়।
জানা গেছে, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রেলের কারখানায় মেরামতকাজ করতে গিয়ে আগুন লেগে যায়। পরে কর্মচারীরা আগুন নিভিয়ে ফেলেন।

রেলওয়ের পাহাড়তলী ওয়ার্কশপের ভান্ডাররক্ষক ইমরান হোসেন ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বলেন, ‘আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে কর্মচারীরা আগুন নেভানোর কাজে অংশ নেন। আগুন নেভাতে বালু ও অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র ব্যবহার করা হয়। আগুন নেভানোর পর অনেক কর্মচারীর সমস্যা দেখা দেয়। সবাই শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় ভুগতে থাকেন। পরে তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে যাই। চমেক হাসপাতালে ৭ জনকে ভর্তি করা হয়। বাকিরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।’