নির্মাণকাজ শেষ না হতেই উঠে যাচ্ছে কার্পেটিং

মোজাম্মেল হক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে কার্পেটিং উঠে যাওয়া সড়কে গত মঙ্গলবার।  ছবি: প্রথম আলো
মোজাম্মেল হক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে কার্পেটিং উঠে যাওয়া সড়কে গত মঙ্গলবার। ছবি: প্রথম আলো

নির্মাণকাজ শেষ হতে না হতেই উঠে যাচ্ছে সড়কের কার্পেটিং। নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার ধারাবারিষা ইউনিয়নের ‘মোজাম্মেল হক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে নাড়িবাড়ি বেড়িবাঁধ’ পর্যন্ত সড়কে এমন অবস্থা।
স্থানীয় ব্যক্তিদের অভিযোগ সড়কটিতে নিম্নমানের খোয়া, বিটুমিনসহ অন্যান্য উপকরণ ব্যবহার করায় দ্রুত কার্পেটিং উঠে যাচ্ছে।
উপজেলা প্রকৌশল অফিস (এলজিইডি) সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ২৬ লাখ টাকা ব্যয়ে জেলার লালপুর উপজেলার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ‘হামিদীয়া এন্টারপ্রাইজ’–এর ঠিকাদার রোকন উদ্দিন ২০ মার্চ ওই সড়কটির নির্মাণকাজ শেষ করেন।
কিন্তু এক সপ্তাহ যেতে না যেতেই ২৬ মার্চ সড়কটির মোজাম্মেল হক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে কার্পেটিং উঠে গিয়ে পুরোনো ইটের খোয়া বের হয়ে পড়েছে।
স্থানীয় ব্যক্তিরা অভিযোগ করেন, শুরু থেকেই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ওই সড়কটির পুরোনো ইট তুলে সেই ইট থেকে খোয়া তৈরি করে সড়কটিতে ব্যবহার করেছে। তা ছাড়া দায়সারাভাবে নিম্নমানের বিটুমিনের প্রলেপ দিয়ে তড়িঘড়ি করে কার্পেটিংয়ের কাজ শেষ করায় সড়কটি টেকসই হয়নি। এ কারণে যানবাহনের সামান্য আঘাতেই নতুন কার্পেটিং উঠে যাচ্ছে।
সড়কটি কার্পেটিং কাজে তদারকির দায়িত্বে থাকা উপসহকারী প্রকৌশলী (এসও) আবদুল আউয়াল বলেন, শিডিউল অনুসরণ করেই সড়কটি পাকাকরণের কাজ শেষ হয়েছে। কোনো রকম অনিয়ম হয়নি। নতুন ঢালাইয়ের পর ট্রাক্টরের চাকার আঘাতে সামান্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। এটা তেমন কিছু নয়।
ঠিকাদার রোকন উদ্দিন মুঠোফোনে গতকাল বুধবার দাবি করেন, সড়কটিতে ভালোভাবে কার্পেটিংয়ের কাজ করা হয়েছে। নতুন করে কার্পেটিং শেষ করার পরপরই যানবাহন চলাচল শুরু করায় চাকার আঘাতে দু–একটি জায়গায় কার্পেটিং উঠে
গেছে। সুবিধামতো সময়ে তা আবার মেরামত করে দেওয়া হবে।