মাছের সঙ্গে এ কেমন শত্রুতা!

ময়মনসিংহের নান্দাইলে দেড় হাজারের বেশি শোল মাছ বিষ প্রয়োগ করে মেরে ফেলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ছবি: প্রথম আলো
ময়মনসিংহের নান্দাইলে দেড় হাজারের বেশি শোল মাছ বিষ প্রয়োগ করে মেরে ফেলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ছবি: প্রথম আলো

ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার এক মৎস্যচাষির দেড় হাজারের বেশি শোল মাছ বিষ প্রয়োগ করে মেরে ফেলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল শুক্রবার মধ্যরাতে বিষ প্রয়োগের ঘটনা ঘটে।

আজ শনিবার সকালে পুকুরের মালিক মো. ছয়াব আলী মাছের এমন মৃত্যু দেখে হাউমাউ করে কাঁদতে শুরু করেন। তিনি অভিযোগ করেন, ‘শত্রুতা করে আমাকে সর্বস্বান্ত করা হয়েছে।’ এ ব্যাপারে তিনি মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

ছয়াব আলীর পুকুরটি নান্দাইল-তাড়াইল সড়কের পাশে নান্দাইল উপজেলার গাংগাইল গ্রামে। আজ বেলা ১১টার দিকে সেখানে গিয়ে দেখা যায়, উৎসুক লোকজন মৃত শোল মাছগুলো দেখছেন আর আফসোস করে বলছেন—‘এ কেমন শত্রুতা’।

ছয়াব আলী অভিযোগ করেন, দুই মাস আগে উপজেলার পাছদরিল্লা গ্রামের রোকন উদ্দিন নামের এক ব্যক্তি তাঁর পুকুরটি লিজ নিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু নিজে মাছ চাষ করবেন বলে পুকুর ভাড়ায় দিতে রাজি হননি। পুকুর না পেয়ে রোকন ক্ষুব্ধ হয়ে এমনটা করেছেন বলে অভিযোগ করেন। তাঁর ভাষ্য, গতকাল রাতে তিনি পুকুর পাহারা দিচ্ছিলেন। সে সময় অন্ধকারে এক লোককে পুকুর পাড়ে দাঁড়িয়ে কিছু একটা নিক্ষেপ করতে দেখেন। পরে তিনি টর্চের আলো ফেললে রোকন উদ্দিনকে মোটরসাইকেলে করে চলে যেতে দেখেন। এ ঘটনায় তিন লাখ টাকার বেশি ক্ষতি হয়েছে বলে ছয়াব আলী দাবি করেন। এই টাকা তিনি সুদে ধার করে নিয়েছিলেন।

এই অভিযোগের বিষয়ে রোকন উদ্দিন বলেন, ‘ছয়াব আলীকে আমি কাকু বলে ডাকি। আমার পুঁজি খাঁটিয়ে তিনি মাছ চাষের ব্যবসা করছেন। তাঁর ক্ষতি মানে আমারও ব্যবসায়িক ক্ষতি। আজ তিনি আমার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের সামনে এসে দাবি করতে থাকেন যে আমি নাকি পুকুরে বিষ দিয়েছি। আমি কোনোভাবেই এ ধরনের অপকর্মের সঙ্গে জড়িত নই।’

উপজেলার জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মো. আরিফ হোসেন বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত মৎস্যচাষি ছয়াব আলী তাঁর কাছে প্রতিকার চাইতে এসেছিলেন। তিনি তাঁকে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।